একটি মাছিও যেন পালাতে না পারে সেভাবে মারিওপোলের আজভস্টল মিল এলাকা অবরুদ্ধ করে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
- এক বৈঠকে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুকে এ নির্দেশ দেন তিনি। যা টেলিভিশনে দেখানো হয়েছে। এতে দেখা যায়, ছোট একটি টেবিলের দুই পাশে বসে আছেন তারা। খবর বিবিসির।
এর আগে প্রেসিডেন্ট পুতিন ওই কারখানায় আক্রমণ চালানোর পরিকল্পনা বাতিলের নির্দেশ দেন।
- বেশ কয়েকদিন ধরেই ইউক্রেনের যোদ্ধাদের সঙ্গে ওই স্টিল কারখানায় হাজারো বেসামরিক নাগরিক আশ্রয় নিয়েছেন।
পুতিন বলেন, ওই কারখানার ভূগর্ভে যাওয়ার কোনো দরকার নেই। এর বদলে ওই এলাকা এমনভাবে অবরুদ্ধ করে রাখুন যেন একটি মাছিও পালাতে না পারে।
- শোইগু বৈঠকে পুতিনকে জানান, মারিওপোল দখলে নেওয়া হয়েছে। মারিওপোলে সফল এ অভিযানের জন্য তাকে অভিনন্দন জানান রুশ প্রেসিডেন্ট।
রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী এর আগে পুতিনকে জানিয়েছিলেন, ওই কারখানায় দুই হাজারের বেশি ইউক্রেনীয় সেনা লুকিয়ে আছে। কারখানাটিতে রয়েছে একটি বিশাল বাংকার।
- আজভস্টল মিল নিয়ে পুতিনের নির্দেশের পর সেখানে আটকে পড়া বেসামরিক নাগরিক ও আহত সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য অবিলম্বে মানবিক করিডোর চালুর দাবি জানিয়েছেন ইউক্রেনের উপপ্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক।
তিনি বলেন, ওই কারখানায় এক হাজারের মতো বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন। এ ছাড়া সেখানে রয়েছেন পাঁচশ’র মতো আহত সেনা সদস্য। তাদের আজকের মধ্যেই ওই কারখানা থেকে বের করা দরকার।
- এর আগে বুধবার ইউক্রেনের ৩৬ মেরিন ব্রিগেডের কমান্ডার সেরহি ভলিনা এক ভিডিও বার্তায় বলেছিলেন, আহতদের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’। তাদের বেসমেন্টে রাখা হয়েছে, তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ পচে যাচ্ছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। এর পর থেকে দেশটির সেনারা মারিওপোলে ব্যাপক হামলা চালায়। সম্প্রতি বন্দরনগরীটির প্রায় পুরো শহর দখলে নেওয়ার দাবি করে মস্কো। তবে আজভস্টল মিলে কিছু ইউক্রেনীয় সেনা লুকিয়ে রয়েছে। তাদের কয়েক দফা আত্মসমর্পণের প্রস্তাব দেওয়া হলেও তারা তা করেনি।
- বন্দরনগরীটির অবস্থানের কারণে এটি কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ শহরের দখল নিতে পারলে রাশিয়া ক্রিমিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংযোগ তৈরি করতে পারবে। এর আগে ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলে নেয় রাশিয়া।