সীমান্ত অঞ্চলের পাশাপাশি বিমানবন্দর হয়েও মাদক ঢুকছে দেশে। দেশের বিমানবন্দরগুলোতে মাদক ধরতে তাই যুক্ত হচ্ছে ডগ স্কোয়াড।
- উন্নতমানের স্ক্যানার থাকলেও মাদক শনাক্ত করতে হিমশিম খাওয়ার কারণে এই উদ্যোগ নিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
এই বিষয়ে অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশনস) কুসুম দেওয়ান বলেন, দেশের সব বিমানবন্দরে মাদক ঠেকাতে দ্রুত ডগ স্কোয়াড যুক্ত করা হবে। এই প্রকল্পের কাগজপত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে।
জানা গেছে, স্কোয়াড গঠনে বিভিন্ন দেশ থেকে কুকুর সংগ্রহ করা, তাদের পরিচর্যা করাসহ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার বিষয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রশিক্ষণের বিষয়ে র্যা ব ও পুলিশের সহযোগিতা নিতে এরইমধ্যে কয়েকবার বৈঠকও হয়েছে।
কুসুম দেওয়ান বলেন, ‘একইসঙ্গে দেশের সব আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর ডগ স্কোয়াডের আওতায় আনা হবে। প্রথমে বিমানবন্দর দিয়ে ডগ স্কোয়াডের কাজ শুরু করলেও পরে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর পরে তা বাহিরের অপারেশনাল কাজেও ব্যবহার করবে।
- অধিদপ্তরের এই পরিচালক জানান, স্কোয়াডের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ১২টি উন্নত জাতের প্রশিক্ষিত কুকুর নিয়ে আসা হবে। কুকুরগুলো আনা হবে জার্মানি ও নেদারল্যান্ডস থেকে। ডগ স্কোয়াড পরিচালনায় নিদিষ্ট জনবল কাজ করবে।
দেশে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবিসহ একাধিক সংস্থার ডগ স্কোয়াড রয়েছে। ডগ স্কোয়াড দিয়ে সংস্থাগুলো মূলত বিভিন্ন নিরাপত্তা ও বিস্ফোরক শনাক্তের কাজে ব্যবহার করে থাকেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ডগ স্কোয়াডে উদ্যোগ নেওয়ার পরে পুলিশকে নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি টিম গঠন করা হয়েছিল। ওই টিম শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিদর্শনও করে। পরে টিমের সদস্যদের দক্ষিণ কোরিয়ায় নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে সহজে মাদক শনাক্ত করা করা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্বীকৃত পন্থা। স্ক্যানারে অনেক সময় ধরা না পড়লেও ডগ স্কোয়াড সহজেই মাদক শনাক্ত করতে পারে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চোরাকারবারিরা মাদক আনতে এয়ার কুরিয়ার সার্ভিসে পার্সেল বেশি ব্যবহার করে থাকে। পার্সেলের বিভিন্ন পণ্যেরেআড়ালে নিয়ে আসা হয় বিভিন্ন ধরনের মাদক। ডগ স্কোয়াড দিয়ে সার্বক্ষণিক নজরদারি করলে পার্সেলে আসা মাদক ঠেকানো সম্ভব হবে বলেই ধারণা অধিদপ্তরের।
মাদক উদ্ধার ছাড়াও বিমানবন্দরের নিরাপত্তা তল্লাশি, বিস্ফোরক দ্রব্য শনাক্তে ব্যবহার হবে ডগ স্কোয়াড। এতে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার হবে।
জানা গেছে, হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্ক্যানার দিয়ে মাদক আসা বন্ধ করা যাচ্ছে না। মাদকের চোরাচালান ঠেকাতে অধিদপ্তর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানালে এবিষয়ে ইতিবাচক সাড়া আসার পর এটা নিয়ে কাজ শুরু হয়।
সেনাবাহিনীতে ডগ স্কোয়াড পরিচালনার অভিজ্ঞতা আছে চয়ন উদ্দিনের। ওয়ারেন্ট অফিসার থেকে অবসরে যাওয়া চয়ন গণমাধ্যমকে বলেন, একটি প্রশিক্ষিত কুকুর দিয়ে একটি কাজ করাই সম্ভব। যেই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবেন ঠিক সেই কাজই করবে কুকুর। বিশেষ করে মাদক আর আর্মসের চোরাচালান ঠেকাতে ডগ স্কোয়াড ব্যবহার খুবই কার্যকর