পি কে হালদার ইস্যুতে বেরিয়ে আসছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। অবৈধভাবে ভারতের নাগরিক হয়েছেন পি কে হালদারের অন্যতম সহযোগী সুকুমার মৃধার দুই ভাগ্নে ও তাদের স্ত্রী।
পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগরের বিলাসবহুল বাড়িতে বসবাস করেন সুকুমার মৃধার দুই ভাগ্নে। সেখানেই আত্মগোপনে ছিলেন প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদার। আলিসান সেই বাড়িতে এখনও আছেন সুকুমার মৃধার ভাগ্নে স্বপন ও উত্তম মৈত্র’র স্ত্রী, সন্তান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নাম পরিবর্তন করা উত্তমের স্ত্রী রচনা ভিন্ন ভিন্ন উত্তর দেন। তিনি বলেন, তারা দুই দেশেই থেকেছেন তাই দুই দেশের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তবে ভারতের নাগরিকত্ব তারা কীভাবে পেলেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন না বলে জানান।
এর মধ্যে স্বপন কুমারের স্ত্রী পূর্ণিমা রানী আবার দুদকের চার্জশিট ভুক্ত আসামি। দৈত নাগরিকত্ব নিয়ে প্রকাশ্যে কীভাবে
প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। তবে রাজ্যের ভোটার তালিকায় নাম-পরিচয় থাকলেও এ পরিবার সম্পর্কে তেমন কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য স্থানীয় কাউন্সিলরের।
এ বিষয়ে অশোকনগরের কাউন্সিলর কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, আমার এ বিষয়ে কিছু বলার নেই কারণ আমি পি কে হালদারকে চিনি না। তবে পি কে হালদার বলে নয়, যারা ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা লুট করেছে তারা ধরা পড়লে তো ভালোই লাগে।
মূলত, সুকুমার মৃধার সহযোগিতায় পিকে হালদারের বাংলাদেশ থেকে ভারতে টাকা পাচার করার মূল কারিগর ছিলেন এই উত্তম এবং স্বপন কুমার। স্থানীরা বলছেন, বিলাসবহুল জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিল এই পরিবার। তবে তারা কখনোই পিকে হালদারকে প্রকাশ্যে দেখেননি বলে দাবি করেন