বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া মৈত্রী এক্সপ্রেস দীর্ঘ ২৭ মাস পর ফের চালু হয়েছে।
ট্রেনটিতে টিকিট বিক্রি হয়েছে ১৭০টি। এর মধ্যে বিদেশি (ভারত) যাত্রী ১৬ জন। ইন্দোনেশিয়ান ১ জন।
এদিন একইসাথে খুলনা-কলকাতা বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল শুরু করেছে। এ সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, যুগ্ম মহাপরিচালক সালাউদ্দিন, ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ে কর্মকর্তা শফিকুর রহমান ও স্টেশন মাস্টার লিটন চন্দ্র উপস্থিত ছিলেন।
স্টেশন মাস্টার লিটন চন্দ্র বলেন, যথাসময়ে ট্রেন স্টেশন ছেড়ে গেছে। যাত্রীরা আগের মতোই নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে যাত্রা করতে পারবে।
সপ্তাহে দুইদিন- রবি এবং বৃহস্পতিবার এই ট্রেনটি কলকাতা থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। অন্যদিকে সপ্তাহে পাঁচদিন মৈত্রী এক্সপ্রেস চলাচল করে।
উল্লেখ্য, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে এই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ট্রেন সার্ভিস চালু হয়। বন্ধন এক্সপ্রেসের যাত্রীদের দুইটি ক্যাটাগরি আসন রয়েছে- একটি এক্সিকিউটিভ ক্লাস এবং অন্যটি চেয়ার কাট। এক্সিকিউটিভ ক্লাসে ভাড়া ১২০০ রুপির মতো, চেয়ার কাটে ভাড়া ৮০০ রুপির মত।
এ প্রসঙ্গে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী জানান, ২৭ মাস বন্ধ থাকার পর ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং একইদিন খুলনা-কলকাতা বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন দু’টি চলাচল শুরু হলো।