fbpx
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
বাড়িবাংলাদেশগার্ডারচাপার দায় নিচ্ছে না কেউ

গার্ডারচাপার দায় নিচ্ছে না কেউ

বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কাজের সময় কংক্রিটের গার্ডারচাপায় দুই শিশুসহ পাঁচজনের প্রাণহানি হলো। সরকারের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হলো। কিন্তু এ কাজে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা কেউ দায় নিচ্ছেন না। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে সরকার শুধু দায় পেয়েছে ঠিকাদারের।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, তদন্তের যে গতিপথ, তাতে সরকারি কর্মকর্তাদের দায়ী করার সম্ভাবনা কম। ঠিকাদারকে জরিমানা আরোপ করে দায় সারতে পারে সরকার। কারণ, তদন্ত কমিটির প্রধান নীলিমা আক্তার সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব। তিনি বিআরটি প্রকল্পেরও সমন্বয়ক।

প্রকল্পের নির্মাণকাজ হচ্ছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর, সেতু বিভাগ ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে। প্রতিটি সংস্থার আলাদা প্রকল্প পরিচালকসহ বাস্তবায়ন ইউনিট রয়েছে। তাদের মধ্যে সমন্বয় ও তদারকির জন্য নীলিমা আক্তারের নেতৃত্বে আছে প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ইউনিট।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের করা তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির বাকি দুজন হলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা, অন্যজন সওজের কর্মকর্তা। কমিটি গতকাল মঙ্গলবার প্রাথমিক প্রতিবেদন দেয়। এতে কোনো কর্মকর্তাকে দায়ী করা হয়নি। সব দায় চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গেজহুবা গ্রুপের ওপর চাপানো হয়েছে। অবশ্য তদন্ত কমিটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে আরও দুই দিন সময় চেয়েছে।

গাড়িতে গার্ডার চাপা দেওয়ার ঘটনার পর গতকাল বিকেলে প্রকল্প কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে এই প্রকল্পে মূল অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর। আগারগাঁওয়ের এডিবি কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। এ সময় প্রকল্পের কাজে সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পুরো কাজ বন্ধ রাখার কথা বলেছে এডিবি। এ পরিস্থিতিতে কাজ অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

গত সোমবার বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেট কারের ওপর বিআরটি প্রকল্পের গার্ডার পড়ে। এতে গাড়িতে থাকা পাঁচজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

গার্ডার চাপা পড়ার ঘটনা ঘটেছে সওজের অংশের কাজে। গতকাল সওজ, সেতু বিভাগ ও এলজিইডি—এই তিন সংস্থার একাধিক কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তাঁরা উত্তরার ঘটনার আগের ও পরের অব্যবস্থাপনা বিশ্লেষণ করে বলছেন, ঠিকাদার, প্রকল্প কর্মকর্তা এবং পরামর্শক—সবারই এতে দায় আছে। ব্যস্ত সড়কে এভাবে মানুষের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে কাজ চালানো হত্যাকাণ্ডের পর্যায়ে পড়ে। নির্মাণকাজে সুরক্ষা ও নিরাপত্তা (সেফটি ও সিকিউরিটি) নিশ্চিতে দুই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। প্রথমত, কাজ শুরুর আগে এবং চলাকালে। দ্বিতীয়ত, দুর্ঘটনা ঘটে গেলে এর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা। এর কোনোটাই নেই বিআরটি প্রকল্পে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Recent Comments