বাংলাদেশকে দেওয়া আরও ১ শতাংশ শুল্কমুক্ত পণ্যের তালিকায় সব ধরনের তৈরি পোশাক অন্তর্ভুক্ত থাকছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
তিনি বলেন, নতুন করে ১ শতাংশসহ ৯৮ শতাংশ পণ্যে দেওয়া শুল্ক সুবিধার মধ্যে সব ধরনের পোশাক পণ্য রয়েছে।
ওয়াং ই চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী এর দুদিনের ঢাকা সফরের সময় ৭ অগাস্ট বাংলাদেশ থেকে আরও ১ শতাংশ পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার ঘোষণা আসে; যে সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে ১ সেপ্টেম্বর থেকে।
তালিকায় আরও থাকছে বাদাম তেল, সূর্যমুখী তেল ও কটন সিড অয়েল, পলিইথিলিন ও পলিপ্রোপিলিনের মত রাসায়নিক ও জুতাসহ বিভিন্ন পণ্য বলে তিনি উল্লেখ করেন।এর আগে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের ৯৭ ভাগ পণ্যকে নিজেদের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুযোগ দেয় চীন। এ সুবিধার আওতায় তখন ৮ হাজার ২৫৬ পণ্যকে বিনা শুল্কে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়।
আমাদের দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের সবচেয়ে বড় খাত তৈরি পোশাক। বিশ্বে পোশাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারকও বাংলাদেশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট রপ্তানিতে ৮১ দশমিক ৮১ শতাংশই ছিল তৈরি পোশাক; যা টাকার অঙ্কে ৪২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার। ওই সময়ে মোট পণ্য রপ্তানি হয়েছিল ৫২ বিলিয়ন ডলার।চীনের আগের দেওয়া ৯৭% শুল্কমুক্ত সুবিধার উপর ভর করে ২০২১ সালে বাংলাদেশ থেকে দেশটিতে পণ্য রপ্তানি প্রথমবারের মত এক বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছিল বলে জানান রাষ্ট্রদূত জিমিং। আগের বছরের তুলনায় যা প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি।চীনে যাওয়া এসব পণ্যের ৬০ শতাংশের বেশি পোশাক বলে বাংলাদেশের পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে জানান তিনি।
নতুন সুবিধার আওতায় বাংলাদেশ থেকে আম, কাঁঠাল, পেয়ারা, মধু ও গরুর মাংসও চীনের বাজারে বিনা শুল্কে প্রবেশের সুযোগ পাবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।