fbpx
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
বাড়িজাতীয়অর্থনীতিডিজেলের দাম কমানো নিয়ে যা বললেন বিপিসির চেয়ারম্যান

ডিজেলের দাম কমানো নিয়ে যা বললেন বিপিসির চেয়ারম্যান

ডিজেল আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে সরকার। ডিজেল আমদানিতে অগ্রিম কর প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং পাশাপাশি ডিজেলের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে জ্বালানি তেলের দামের ওপর প্রভাব পড়বে কি না- সেটা জানতে আরো দুই থেকে তিন দিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ।

আজ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান বিপিসি চেয়ারম্যান। রবিবার ডিজেল ও চাল আমদানিতে ১০ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছে সরকার।তিনি বলেন, জ্বালানি তেল আমদানি পর্যায়ে শুল্ক কমানোর বিষয়টা মাত্র ২টা জায়গায় আংশিক কমেছে। এটি নিয়ে অ্যাকাউন্টস শাখা কাজ করছে। অগ্রিম কর এবং আমদানি শুল্ক কমানোর কারণে জ্বালানি তেলের দাম কতটুকু কমবে সেটা আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে জানা যাবে।

এবিএম আজাদ বলেন, দাম কমার বিষয়ে যদি আপনাদের লেটেস্ট তথ্য দেই, এভারেজে আগস্ট মাসে গত ২৮ দিনের যে রেট যেটা রিফাইন ওয়েলে, সেটা এখনও ১৩২ ডলার প্রতি ব্যারেলে পড়ছে। যেটা আমার কস্টিংয়ে চেয়ে সাড়ে ৯ থেকে ১০ টাকা বেশি প্রতি লিটারে। আমি ডিজেলের কথা বলছি।

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পাশের দেশে তেল পাচার ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) লোকসান কমানোর কারণ দেখিয়ে গত ৫ আগস্ট সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য ৪২ থেকে ৫২ শতাংশ বৃদ্ধি করেছিল। এতে প্রতি লিটার ডিজেল ৮০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১৪ টাকা করা হয়।

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে পরিবহন, কৃষি, শিল্পসহ সব ক্ষেত্রে ব্যয় বেড়েছে। একসঙ্গে তেলের দাম এত বাড়ানোর ফলে জীবনযাত্রায় বেড়ে যায় অসহনীয় চাপ। বাড়তি এ আর্থিক চাপের ফলে শিল্প উৎপাদনে বেড়েছে অতিরিক্ত খরচ। এ ছাড়া পরিবহন খরচ বৃদ্ধির ফলে কাঁচামাল ও অন্যান্য দ্রব্যের মূল্য লাগামছাড়া। প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষিকাজে অতিরিক্ত ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Recent Comments