ফেনীর সোনাগাজীতে নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ে করায় শিক্ষককে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়েছে সোনাগাজীর আল হেলাল একাডেমীর পরিচালনা পর্ষদ। অভিযুক্ত শিক্ষক শেখ ফরিদ রনি ওই বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ বৈঠক করে তাকে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি প্রদান করে।
প্রায় সাত আট মাস আগে শেখ ফরিদ রনি আল হেলাল একাডেমীতে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। এক সময় তিনি তার প্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি বিদ্যালয়ে জানাজানি হলে ছাত্রীর পরিবার মানসম্মান হারানোর ভয়ে শিক্ষকের সাথে মেয়েকে বিয়ে দেন। ছাত্রীর বয়স কম হওয়ায় তার পরিবার বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখে বলে জানা যায়।
কয়েকদিন আগে বিষয়টি জানাজানি হলে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরালও হয়। পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ ছাত্রীর পরিবার ও অভিযুক্ত শিক্ষককে তলব করে। বিষয়টির সত্যতা পেয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে সম্মত হয় পরিচালনা পর্ষদ।
একাডেমীর প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক বলেন, অভিযোগের সত্যতা পেয়ে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সামছুল হকের নির্দেশক্রমে অভিযুক্ত শিক্ষককে শ্রেণি কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন পেলে পরিচালনা পর্ষদ তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
অভিযুক্ত শিক্ষক শেখ ফরিদ রনি বলেন, পারিবারিকভাবে আকদ হয়েছে, তবে বিয়ে হয়নি। বক্তব্য জানতে মুঠোফোনে কথা হয় ছাত্রীর মায়ের সাথে। তিনি সাংবাদিকের পরিচয় জেনে বাইরে আছেন জানিয়ে লাইন কেটে দেন।