fbpx
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
বাড়িবাংলাদেশঅপরাধঢাবি ক্যাম্পাস থেকে ব্যবসায়ী অপহরণ

ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে ব্যবসায়ী অপহরণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাস থেকে মো. মহিউদ্দিন খান নামের এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর নগদ ২০ লাখ টাকাসহ একটি মোবাইল ফোন ডাকাতির অভিযোগ পেয়েছে পুলশ। এ ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মওদুত হাওলাদার বলেন, ‘প্রাথমিক অভিযোগ পেয়ে তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

যাচাই-বাছাইয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টাও চলছে। ‘

এ বিষয়ে মহিউদ্দিন খান দাবি করেছেন, “গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের সামনের রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেলে করে যাওয়ার সময় তার গতিরোধ করে ‘সেনাবাহিনী’ লেখা জলপাই রঙের একটি গাড়ি। তিনজন ওই গাড়ি থেকে নেমে তাকে মোটরসাইকেল থেকে নামতে বলেন। তাদের প্রশাসনের লোক ভেবে তিনি মোটরসাইকেল থেকে নেমে যান। এরপর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে লোকগুলো একটি গাড়িতে উঠিয়ে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে মারধর করতে থাকেন। ‘

তিনি আরো বলেন, ‘একপর্যায়ে তিনি বুঝতে পারেন, ডাকাতের কবলে পড়েছেন তিনি। এ সময় ডাকাতরা তার কাছে থেকে মোট ২০ লাখ টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এর মধ্যে তার দুই পায়ে রাবার দিয়ে বাঁধা ২ লাখ টাকা করে মোট ৪ লাখ টাকা ও কোমরে কাপড়ে বেল্টে রাখা আরও ১৬ লাখ টাকা নিয়ে নেন ডাকাতেরা। পরে হাত, পা ও চোখ বাঁধা অবস্থায় তারা তাকে রাস্তার পাশে ফেলে দেন। কয়েকজন পথচারি তার গোঙানির শব্দ শুনে বাঁধন খুলে উদ্ধার করেন তাকে। এ সময় ওই লোকগুলো তাকে জানায়, তিনি কেরানীগঞ্জে আব্দুল্লাপুরের রাস্তার পাশে রয়েছেন। ‘ পরে তাদের সহায়তায় বিষয়টি তার ভাই কবির হোসেনকে জানান তিনি।

রাজধানীর নিউমার্কেটে রায়হান জুয়েলার্স নামে তার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে জানিয়ে মহিউদ্দিন খান বলেন, ‘গতকাল শনিবার বেলা একটার দিকে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে তাঁতীবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন। এরপর বেলা ২টার দিকে তিনি তাঁতীবাজার ২১ নম্বর মার্কেটে পৌঁছে কাজ শেষে করে সেখান থেকে বেলা তিনটার দিকে তাঁতীবাজার মোড় থেকে ভাড়া করা মোটরসাইকেলে করে নিউমার্কেটের উদ্দেশে রওনা দেন। গাড়িটি কিছুদূর যাওয়ার পর তার দুই হাত পেছনে নিয়ে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে দেন তারা। এ ছাড়া তিনি যাতে চিৎকার করতে না পারেন, সেজন্য মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ফেলা হয় তাকে। ”

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Recent Comments