বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আগের শর্তেই তার সাজার মেয়াদ আগামী ৬ মাসের জন্য স্থগিত থাকবে। এ সময় তিনি বিদেশে চিকিৎসা নিতে পারবেন না। তবে দেশে যে কোনো হাসপাতাল বা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা সেবা নিতে বাঁধা থাকবে না।জানা গেছে, গত সপ্তাহে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছেন। ষষ্ঠবারের মতো বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছে পরিবার। এবারও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
এর আগে ছয় মাস করে পাঁচবার খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। চলতি সেপ্টেম্বর মাসেই মেয়াদ শেষ হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে দুর্নীতির দুই মামলার দণ্ড স্থগিত হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসন ছয় মাসের জন্য মুক্তি পান। সে সময় দুটি শর্তের কথা বলা হয় সরকারের পক্ষ থেকে। এগুলো হলো: খালেদাকে বাসায় চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে কারাগারে যাওয়া খালেদা জিয়ার দণ্ড পরে আপিলে দ্বিগুণ হয়। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় তার সাত বছরের কারাদণ্ড হয়।আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।