দুই নাতনি জাহিয়া ও জাফিয়া হচ্ছেন তাঁর প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মেয়ে। দুজনই তাদের মা শর্মিলা রহমান সিঁথির সঙ্গে কারাবন্দি দাদি খালেদা জিয়াকে দেখতে এসেছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে।
স্বজনদের নিকটজনের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, অসুস্থ খালেদা জিয়া দুই নাতনিকে দেখে খুশি হয়েছেন। দুই নাতনি পায়ে ধরে সালাম করলে তাদের বুকে জড়িয়ে আদর করেন খালেদা জিয়া।
পরিবারের সদস্যরা জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। তিনি কারো সাহায্য ছাড়া একা হাঁটতে পারেন না, হুইল চেয়ারে করে তাঁকে চলাচল করতে হয়। ডায়াবেটিস থাকায় প্রতিদিনই তাঁকে ইনসুলিন নিতে হয়। রয়েছে দাঁত ও চোখের সমস্যা। হাত-পায়ে আর্থ্রাইটিসের ব্যথাও রয়েছে তাঁর।
২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আরাফাত রহমান কোকো।
কারাবন্দি অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ১ এপ্রিল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ৬২১ নম্বর কেবিনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আজ ঈদের দিন কারা কর্তৃপক্ষ সীমিত পরিসরে ছয়জনকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেয়। কোকোর স্ত্রী ও দুই মেয়ে ছাড়া ছিলেন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, স্ত্রী কানিজ ফাতেমা ও ছেলে অভিক এস্কান্দার।
দুপুর দেড়টার দিকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের কেবিন ব্লকে আসেন তাঁরা। ছোট ছেলের বউ শাশুড়ির (খালেদা জিয়া) জন্য বাসা থেকে খাবার রান্না করে নিয়ে আসেন। প্রায় দুই ঘণ্টা নাতনি, ছোট ছেলের বউসহ ছোট ভাইয়ের পরিবারের সঙ্গে সময় সময় কাটান বিএনপি চেয়ারপারসন।
সেবার জন্য গৃহকর্মী ফাতেমা বেগমও খালেদা জিয়ার সঙ্গে বন্দি রয়েছেন। তিনিও স্বজনদের আনা খাবার একই সঙ্গে খেয়েছেন।
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, সাবিনা ইয়াসমীনসহ ১৫-১৬ নেতা-কর্মীও কেবিন ব্লকের সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থেকে তাদের নেত্রীকে স্মরণ করেন। ছাত্রদলের পাঁচ-ছয়জন নেতা-কর্মীকেও কেবিন ব্লকের কাছে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।