ভোলায় ঈদের আগের রাতে মেহেদি দিতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী। গতকাল রোববার রাতে সদর উপজেলার চর সামাইয়া ইউনিয়নে এ ঘটনায় আসামিদের এক সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ।
তবে ঘটনার পর ধর্ষণে প্রধান অভিযুক্ত মোহরি আল আমিন ও তার সহযোগী মঞ্জুর আলম পলাতক রয়েছে।
ভুক্তভোগীর বাবা জানান, রোববার রাতে তাঁর মেয়ে মেহেদি দিতে পাশে আত্মীয়র বাড়িতে যায়। কিন্তু ওই আত্মীয় ঘরে না থাকার সুযোগে তাদের বাসায় ভাড়াটিয়া আল আমিন তাঁর মেয়েকে ঘরে ডেকে নিয়ে হাত-পা বেঁধে সহযোগী মঞ্জুর আলমকে নিয়ে গণধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে মেয়ের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে উদ্ধার করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সামাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন জানান, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীকে প্রথমে ভোলা মডেল থানায় নেওয়া হয়। পরে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভোলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মমিনুল ইসলাম জানান, ওই ছাত্রীর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তার শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।
জেলা পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সার জানান, খবর পেয়ে রাতেই মূল দুই আসামির সহযোগী জামাল নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। মূল দুই আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সুত্রঃ এন টিভি