মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মাকে বাঁচাতে লঞ্চ থেকে মেঘনা নদীতে ঝাঁপ দেওয়া নাঈম হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। বুধবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার হোসেন্দী এলাকায় মেঘনা নদীতে মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।
গজারিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইজাজ আহম্মেদ জানান, গজারিয়ার হোসেন্দী এলাকায় মেঘনা নদীতে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে সেখানকার লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পরে গজারিয়া নৌ পুলিশের একটি টিম গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। মরদেহটি নিখোঁজ নাঈমের বলে স্বজনরা শনাক্ত করেছেন।গত সোমবার পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছেলের সঙ্গে রাগ করে নদীতে লাফিয়ে পড়েন মা জামিরুন বেগম । পরে মাকে বাঁচাতে ছেলে নাঈম হোসেনও লাফ দেন নদীতে।
পরে মা জামিরুন বেগম জীবিত অবস্থায় তীরে আসতে পারলেও ছেলে নাঈম সাঁতার না জানায় মুহূর্তেই নদীর পানিতে তলিয়ে যান। এ ঘটনার ৫১ ঘণ্টা পর মেঘনা থেকে নাঈমের মরদেহ উদ্ধার হলো। মা-ছেলের বাড়ি শরিয়তপুর জেলার সুখীপুরে। নাঈমের বাবার নাম আক্তার হোসেন।