মহানগরীতে চলাচল করা বাসগুলোয় যাত্রীদের অভিজ্ঞতা তিক্ততায় ভরা। বাসে ওঠা-নামায় সমস্যা; রাস্তার মাঝে দুম করে বাস থামিয়ে যাত্রী তোলা-নামানো; অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া; বেশি ভাড়া আদায়, চালক-সহকারীদের বাজে ব্যবহার নিত্যদিনের। এসব থেকে রেহাই দিতে নগরীতে উদ্বোধন করা হয় ঢাকা নগর পরিবহনের। এখন স্টপেজে ৫-৭ মিনিট দাঁড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে নির্ধারিত গন্তব্যের বাহন। টিকিট কেটে হুড়োহুড়ি ছাড়া স্বাভাবিকভাবে চড়া যাচ্ছে নগর পরিবহনের তিন রুটের বাসে। এসব বাহনের সিটগুলো প্রশস্ত, দুই সিটের মাঝেও ফাঁকা রয়েছে বেশ। যাত্রীরাও আরামে বসে যেতে পারছেন।কিন্তু যেখানে নিয়মের ধার ধারে না কেউ, সেখানে অনিয়মই নিয়ম হয়ে দাঁড়ায়। বৃহস্পতিবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর যে অঙ্গীকার করেছিলেন, সেটি ফেরেনি।
অনিয়মের মধ্যে সবার আগে যেটি হচ্ছে, সেটি যত্রতত্র টিকিট ছাড়া বাসে যাত্রী তোলা। মোহাম্মদপুর বাস স্টপেজ থেকে টিকিট কেটে অন্য যাত্রীদের সঙ্গে বাসে উঠে সন্তোষজনক অবস্থান লক্ষ্য করা যায়। বিপত্তি বাধে কয়েক মিনিট পর। নগর পরিবহনের বাসটি কিছুদূর গিয়ে টিকিট ছাড়া যাত্রী তোলে। এ অনিয়ম কিছুক্ষণ পরপরই করছিলেন বাসের চালক। যেসব যাত্রী টিকিট ছাড়া বাসে ওঠেন, তারা ভাড়া পরিশোধ করেন চালককে। স্বভাবতই বাসের এ ভাড়া বঞ্চিত হচ্ছে ঢাকা নগর পরিবহন কর্তৃপক্ষ।
নগর পরিবহনে পুরোপুরি শৃঙ্খলা না ফেরার বিষয়টি স্বীকার করেছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন। প্রাথমিক যে সংকট সেটি কেটে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের এ নির্বাহী পরিচালক। তিনি বলেন, আমরা সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই। এ জন্য যাত্রী-মালিক-শ্রমিকদের সচেতন হতে হবে। তাহলেই সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে।অন্যান্য সময় সড়কে বাস ও অন্যান্য বাহনের অনিয়ম রোধে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের ভ্রাম্যমাণ আদালত বসে। কিন্তু শুক্রবার হওয়ায় আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটরা সড়ক তদারকিতে ছিলেন না। এ সম্পর্কে বিআরটিএ’র উপ-পরিচালক হেমায়েত উদ্দিন বলেন, শুক্রবার কোনো কোর্ট বসেনি। তবে, সাধারণ দিনগুলোয় ভ্রাম্যমাণ আদালত সড়কে থাকবে। অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।