আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু ‘পঁচাত্তরের খুনিচক্র এখনো আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার পেছনে পেছনে ঘুরছে। তারাই ২১ আগস্টের ঘ্টনা ঘটানোর চেষ্টা করেছে।’ আজ শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় আবদুল মতিন খসরু এ কথা বলেন।
১৫ আগস্টের স্মৃতিচারণ করে সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের খুনিচক্র জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মাধ্যমে দেশকে পরাধীন করতে চেয়েছিল। জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার সরকার খুনিদের বিচার না করে তাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় রাষ্ট্রদূতের চাকরি দিয়ে সম্মানিত করেছেন। খুনিদের কোটি কোটি টাকার ব্যবসা দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে।’
আবদুল মতিন খসরু, যুক্তরাজ্যে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমালোচনা করে বলেছেন, ‘পাপ বাপকেও ছাড়ে না। তারেক রহমান একজন দুর্নীতিবাজ। তারেক জিয়ার বাপেরও শক্তি নাই দেশে ফিরে এসে রাজনীতি করার। দেশে এলেই তাঁকে তাঁর মায়ের (খালেদা জিয়ার) মতোই সরাসরি কারাগারে যেতে হবে।’
সাবেক আইনমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া আজ কারাগারে দিন কাটাচ্ছেন। তিনি (খালেদা জিয়া) আর বাংলাদেশে নির্বাচন করতে পারবেন না। ১৩ বছরের আগে তিনি আর কারাগার থেকে ছাড়াও পাচ্ছেন না। আদালতের রায়েই তিনি কারাবন্দি হয়েছেন।’
তারেক রহমানের সমালোচনা করে আবদুল মতিন খসরু বলেন, লন্ডনে বিশাল বাড়িতে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন তারেক রহমান। তিনি এ টাকা কোথায় পাচ্ছেন? তাঁকে একদিন এর জবাব দিতেই হবে। বাংলাদেশে এসে নির্বাচন করা তো দূরের কথা, দেশে আসারও তাঁর সুযোগ নেই। দেশে এলেই তাঁকে সরাসরি কারাগারে যেতে হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের সংসদের বিরোধী দলের আসনে বসিয়ে খালেদা জিয়া যে অন্যায় করেছেন, তার খেসারত তাঁকে দিতেই হবে। যা এখন দিয়ে চলেছেন তিনি। খালেদা জিয়া ও তারেক ভেবেছিলেন, আওয়ামী লীগ হয়তো আর জীবনেও ক্ষমতায় আসবে না। এ কারণেই তাঁরা খুনিচক্রকে দিয়ে বারবার আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছেন। জনগণের ভালোবাসায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার নিষ্পত্তি করেছে। এখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের জন্য উন্নয়নের রোলমডেল।
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দলের কেন্দ্রীয় অন্যান্য নেতারাও বক্তব্য দেন