দেশের তরুণ চাকরিপ্রার্থীরা সব সময় একাধিক প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পদে চাকরির আবেদন করেন। একই দিনে একাধিক চাকরির পরীক্ষার তারিখ পড়ে গেলে চরম বিপাকে পড়তে হয় তাঁদের। আবার সেই বিপাকেই পড়েছেন তাঁরা। আগামীকাল শুক্রবার ১৪ প্রতিষ্ঠানের চাকরির পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত রয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানে চাকরিপ্রার্থী ৯ লাখ ৬৮ হাজার ৮৯৯ জন।
নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রায় সবই সরকারি। বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানভেদে শুক্রবার সকাল, দুপুর ও বিকেলে এসব পরীক্ষা হবে। কারো ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সকালে একটি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা, বিকেলে আরেকটি। কারো আবার দুটি পরীক্ষার কেন্দ্র দুই শহরে। অর্থাৎ একটি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষায় অংশ নিলে অন্যটি দেওয়া সম্ভব নয়।
সবচেয়ে বেশি প্রার্থী সমাজসেবা অধিদপ্তরের সমাজকর্মী (ইউনিয়ন) পদের লিখিত পরীক্ষায়। সংখ্যা ছয় লাখ ৬২ হাজার ২৭০। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদের পরীক্ষায় প্রার্থী দুই লাখ ৫৫ হাজার ২৯২ জন। এই দুটি পরীক্ষা হবে সকালে প্রায় কাছাকাছি সময়ে। কোনো প্রার্থীর পক্ষেই দুই পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সম্ভব হবে না।
চাকরিপ্রার্থী আব্দুন নূর জানান, তাঁর দুটি পরীক্ষার একটি কেন্দ্র ঢাকায়, আরেকটি ঢাকার বাইরে। একই শহরে হলে একটি পরীক্ষা সকালে, আরেকটি বিকেলে দেওয়া যেত।
আরেক প্রার্থী কামরুজ্জামান বলেন, ‘সমাজকর্মী (ইউনিয়ন) নিয়োগ পরীক্ষা ঝুলে ছিল দীর্ঘদিন। এই পরীক্ষার জন্য এত দিন অপেক্ষায় ছিলাম। আবার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদের জন্যও আবেদন করেছি। এখন এই দুই পরীক্ষা হবে একই দিনে প্রায় একই সময়ে। এদিকে চাকরির বয়সও শেষ। দুটি পরীক্ষা ভিন্ন সময়ে হলে হয়তো একটিতে টিকে যেতাম! এখন সেই সুযোগ কমে গেল। ’
শুক্রবার যেসব প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা
সমাজসেবা অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, বিমান বাংলাoদেশ এয়ারলাইনস, হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, বিআইডাব্লিউটিএ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, বেপজা, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউট, গণযোগাযোগ অধিদপ্তর, প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তার কার্যালয়, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট, বিডিসিসিএল ও প্রিমিয়ার ব্যাংক।