হলুদ কার্ডের খড়্গে পড়ে নেইমার খেলতে পারেননি পিএসজির হয়ে। তবে লিওনেল মেসি আর কিলিয়ান এমবাপের জাদুতে তার অভাব টেরই পেল না পিএসজি। অ্যাজাকসিওর বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয় তুলে নিয়েছে দলটি, লিগ আঁ’র শীর্ষেও জাঁকিয়ে বসা হয়ে গেছে তাতে।নেইমার তো ছিলেনই না, অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার সার্জিও রামোসও ছিলেন না স্কোয়াডে।
রাঁসের বিপক্ষে ম্যাচে দেখা লাল কার্ডের ফলে এই ম্যাচে নিষিদ্ধ ছিলেন তিনিও। তবে দুই তারকাকে ছাড়া খেলছে পিএসজি, ম্যাচের শুরু থেকে তা বোঝার কোনো উপায়ই রাখেনি দলটি। অ্যাজাকসিওর বিপক্ষে যে শুরু থেকেই ছড়ি ঘুরিয়েছে দলটি!
১৩ মিনিটে মেসির ফ্রি কিক দারুণভাবে ঠেকিয়ে দেন স্বাগতিক গোলরক্ষক বেনজামিন লেরয়। তবে পিএসজিকে গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে আর মাত্র ১১ মিনিট। মেসির দারুণ এক থ্রু বল নিয়ে বক্সের বাম পাশ দিয়ে ঢুকে পড়েন তিনি, গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে পেয়ে যান গোলটাও।
প্রথমার্ধে আরও একবার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন গোলের, কিন্তু এমবাপে তা কাজে লাগাতে পারেননি। ফ্যাবিয়ান রুইজের শটটাও এরপর যায় পোস্টের একটু বাইরে দিয়ে। ফলে ১-০ গোলে এগিয়েই বিরতিতে যেতে হয় প্যারিসিয়ানদের।পিএসজি তাদের দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় ৭৮ মিনিটে। হুয়ান বের্নাতের সঙ্গে দেওয়া নেওয়া করে বল নিয়ে বক্সে চলে আসেন মেসি, পাস বাড়ান এমবাপেকে, তার দারুণ ব্যাকহিল ফ্লিকে গোলরক্ষকের সামনে এগোতে থাকা মেসিকে খুঁজে নেয়, আর্জেন্টাইন তারকা এরপর গোলরক্ষককেও ফাঁকি দিয়ে বলটা জড়ান ফাঁকা জালে।
এর পরের মিনিটেই পিএসজি তৃতীয় গোলটা পেয়ে যায়। এই গোলেও জড়িয়ে আছে মেসি-এমবাপের নাম। বক্সের একটু বাইরে থেকে মেসি বলটা বাড়ান এমবাপেকে, সেটা কোনোরকম আয়ত্বে নিয়েই ফরাসি তারকা শট নেন বাঁ পাশের পোস্টে, তা গিয়ে জড়ায় জালে। এই গোলের ফলে নেইমারকে টপকে যান দু’জনেই। চলতি মৌসুমে ৯ গোল নিয়ে যৌথভাবে লিগ আঁ’র শীর্ষ গোলদাতা ছিলেন নেইমার, গত রাতের দুই গোলে এমবাপে ১০ গোল নিয়ে সেই শীর্ষস্থান কেড়ে নিয়েছেন তার থেকে। ৭ অ্যাসিস্ট নিয়ে নেইমার যৌথভাবে ছিলেন শীর্ষে, গত রাতের দুই অ্যাসিস্ট নিয়ে সে জায়গাটাও তার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছেন মেসি।তাদের এমন নৈপুণ্যে পিএসজিও অ্যাজাকসিওর মাঠ ছাড়ে ৩-০ গোলের জয় নিয়ে। এর ফলে ১২ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে দলটি লিগের শীর্ষে অবস্থান সুসংহত করেছে। দুইয়ে থাকা লরিয়েঁর অর্জন এক ম্যাচ কম খেলে ২৬ পয়েন্ট।