নীলফামারীতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যা মামলার ১৩ বছর পর অভিযুক্ত মাহমুদার রহমানের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
বুধবার দুপুরে নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মনছুর আলী এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত মাহমুদার উপজেলার দুন্দিবাড়ি পাড়া এলাকার আফান উদ্দিনের ছেলে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক আছেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর বাড়িতে একা পেয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেন মাহমুদার। ধর্ষণের পর জানাজানির ভয়ে তাকে হত্যার পর মরদেহ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। এ সময় স্কুলছাত্রীর বাবা বাড়িতে এসে মাহমুদারকে আটক করেন। মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হারেজ মর্তুজা বাবুল বলেন, দীর্ঘ ১৩ বছর পর চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের রায়ে পরিবার ও আমরা খুশি। আসামিকে দ্রুত গ্রেফতার করে রায় কার্যকরের দাবি আমাদের।ভুক্তভোগী ওই স্কুল ছাত্রীর ভাই বলেন, বাবা মারা যাওয়ার আগেও বলেছিলেন যেন বোনের বিচার না পাওয়া অবধি লড়াই করি। আজ মন কিছুটা শান্ত। এখন রায় কার্যকরের অপেক্ষা।