জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় জামাই ও শ্বশুর পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পুলিশসহ অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার কীর্তিনাশা নদীর তীর ও ভাষাসৈনিক গোলাম মাওলা সেতুর ওপর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোক্তারের চর ইউপি চেয়ারম্যান বাদশা শেখ। তার ছেলে পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইউনুছ শেখ। বাদশা শেখের জামাতা মামুন মোস্তফা নড়িয়া কলেজের সাবেক ভিপি ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ইউনুছ শেখ ও মামুন মোস্তফা সদ্য সমাপ্ত জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে নির্বাচন করেন। দুজনই নির্বাচনে পরাজিত হন। নির্বাচন নিয়ে বাদশা শেখের ছেলে ইউনুছ ও জামাতা মামুন মোস্তফার মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে বুধবার সন্ধ্যায় দুপক্ষের সমর্থকেরা সংঘর্ষে জড়ান। সংঘর্ষে দুপক্ষ প্রায় শতাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় ককটেলের স্প্লিন্টারের আঘাতে নড়িয়া থানার উপ-পরিদর্শক ফরহাদ হোসেন ও কনস্টেবল জুয়েল আহত হন। এছাড়া উভয় পক্ষের অন্তত ১৪ জন আহত হন।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শর্টগানের ৪০টি ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এরপর দুপক্ষ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ১০টি ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।