ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলার সম্মেলনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। ঢাকা জেলার সম্মেলন আগামী রোববার ৩০ অক্টোবর ও টাঙ্গাইল জেলার সম্মেলন হবে মঙ্গলবার ১ নভেম্বর।বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ বলেন, ঢাকা বিভাগের দুটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা হলো ঢাকা ও টাঙ্গাইল। সম্মেলনের মাধ্যমে এ দুই জেলার নতুন নেতা নির্বাচিত হবে।
তিনি বলেন, দুইভাবেই নেতা নির্বাচন হতে পারে। কাউন্সিলরদের সমঝোতার ভিত্তিতে অথবা তাদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে। কাউন্সিলররা যেটা মনে করবেন সেভাবে সিদ্ধান্ত হবে।জানতে চাইলে ঢাকা জেলা বিএনপির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক বলেন, আগামী রোববার নবাবগঞ্জের কলাকোপায় তার বাড়ির সামনের মাঠে এ সম্মেলন হবে।বাড়ির সামনে কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোথাও ভেন্যুর অনুমতি না পাওয়ায় নিজস্ব আঙিনায় করতে হচ্ছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা জেলা বিএনপির শীর্ষ পদ পেতে দীর্ঘদিন থেকে লবিং করছেন বর্তমান সভাপতি ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে তমিজ উদ্দিন, খোরশেদ আলম, নাজিম উদ্দিন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমানের ছেলে ব্যারিস্টার ইরফান ইবনে আমান অমি, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ।এর বাইরে সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের পুত্রবধূ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী।
জানা গেছে, গত জুনে ঢাকা জেলা বিএনপির সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। সে সময় সম্মেলনকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত তিন মাসেও সেই সম্মেলন করতে পারেনি ঢাকা জেলা বিএনপি। এ কারণে নেতাকর্মীরা অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছিলেন। হঠাৎ করে সম্মেলনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তারা আবার চাঙা হয়েছেন।
বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, সঙ্গত কারণেই ঢাকা মহানগরের পরে ঢাকা জেলা রাজনৈতিকভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য এ জেলার কমিটিতে পদ-পদবি পেতে অনেকেই আগ্রহী হয়ে থাকেন।তারা বলেন, দীর্ঘদিন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা দুবারের নির্বাচিত সাবেক নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার আবু আশফাক এবার সভাপতি পদে আসতে চান।
যদিও শনিবার ২৯ অক্টোবর সকালে খন্দকার আবু আশফাক বলেন, আমার নিজের কোনো পদ পাওয়ার ইচ্ছা নেই। দলের কাউন্সিলররা যে সিদ্ধান্ত নেবেন আমি সেটাই মেনে নেব।দলীয় সূত্র জানায়, বর্তমান সভাপতি ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ও খন্দকার আবু আশফাকের মধ্যে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। সরাসরি ভোট হলে আরও প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সিলেকশন হলে এ দুজনের মধ্যে একজন সভাপতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।