যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ না হলে কঠোর জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। এরইমধ্যে গত দুদিনে ২৩টি মিসাইল ছুড়েছে পিয়ংইয়ং।এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের মধ্যে হওয়া এ যাবতকালের সর্ববৃহৎ সামরিক মহড়ার সময় বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।
৩ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ার বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিবৃতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার বিমানবাহিনী জানায়, উত্তর কোরিয়ার উস্কানির কারণে ভিজিল্যান্ট স্টর্ম নামের এই মহড়ার সময় বাড়ানোর বিষয়ে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।
২ অক্টোবর সিউলের সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, ১৯৫৩ সালে উপদ্বীপ ভাগ হওয়ার পর এই প্রথমবারের মতো দক্ষিণ কোরিয়ার সমুদ্র সীমার খুব কাছে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে। উত্তর কোরিয়ার ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র দক্ষিণ কোরিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে ৫৭ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের মধ্যে পড়ে। উত্তর কোরিয়ার এমন কর্মকাণ্ডকে খুব বিরল এবং অসহনীয় বলে আখ্যায়িত করেছে দক্ষিণ কোরিয়া সেনাবাহিনী।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়াটি শুরু হয়। এটি শেষ হওয়ার কথা ছিল শুক্রবার। ‘ভিজিল্যান্ট স্টর্ম’ নামে যৌথ মহড়ায় দুই দেশের শত শত যুদ্ধবিমান অংশ নিয়েছে। সোমবার থেকে বিরামহীনভাবে এগুলো শক্তি প্রদর্শন করছে।গত সেপ্টেম্বরে উত্তর কোরিয়াকে ‘পারমাণবিক অস্ত্রধারী’ দেশ হিসেবে ঘোষণা দেন কিম জং উন। আর এই তকমা ‘অপরিবর্তনীয়’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।চলতি বছরে মিসাইল নিক্ষেপের তৎপরতা বাড়িয়েছে উত্তর কোরিয়া। এ পর্যন্ত দেশটি অন্তত ৪০টি মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছে।