বিশ্বকাপের আগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের শেষ ম্যাচ ছিল রোববার রাতে ফুলহ্যামের বিপক্ষে। কিন্তু ওই ম্যাচে এরিক টেন হাগের স্কোয়াডেই নেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। কারণ কী?
পরে জানা গেলো আসল কারণ। কোচ এরিক টেন হাগের সঙ্গে সম্পর্কের চূড়ান্ত অবনতি হয়েছে সিআর সেভেনের। শুধু তাই নয়, প্রকাশ্যেই রোনালদো বলে দিয়েছেন, ‘এরিক টেন হাগের প্রতি আমার কোনো সম্মান নেই।’এর কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, টেন হাগ তাকে ম্যানইউ থেকে বের করে দিতে চেয়েছিলেন। একই সঙ্গে ম্যানইউর প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগও তোলেন রোনালদো।
আর মাত্র কয়েকদিন পরই শুরু হচ্ছে কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ। কিন্তু তার আগেই নিজের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে চরম সঙ্ঘাতে জড়িয়ে পড়লেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। শুধু কোচই নয়, তিনি ক্ষুব্ধ দলের কয়েকজন ফুটবলার ও কর্মকর্তার ওপর।ফুটবল বিশ্বকাপের আগে পিয়ের্স মরগ্যানের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে ক্লাবের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন পর্তুগালের হয়ে সর্বাধিক গোল করা এই ফুটবলার। টেন হাগ এবং সাবেক কোচ রালফ রাংনিকেরও তুমুল সমালোচনা করেন তিনি।
রোনালদো বলেন, ‘আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। আমাকে নিশানা করা হচ্ছে। আমি এই ক্লাবে থাকি, সেটা অনেকে চায় না। শুধু এই বছর নয়, আগের বছরও তারা সেটাই চেয়েছিল। শুধু কোচই নয়, কয়েকজন সিনিয়র ফুটবলার এবং কর্মকর্তা আমাকে ঘিরে ষড়যন্ত্র করছে। আমি প্রতারিত হয়েছি।’গত অক্টোবরেই টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে বদলি হিসেবে রোনালদোকে নামাতে চেয়েছিলেন টেন হাগ। কিন্তু রোনালদো বদলি হিসেবে নামতে রাজি হননি এবং টানেল দিয়ে বেরিয়ে যান। যার ফলে টেন হাগ তাকে বহিস্কার পর্যন্ত করেছিলেন। সর্বশেষ আগের দুই ম্যাচ অসুস্থতার কারণে খেলতে পারেননি সিআর সেভেন। তবে টেন হাগ জানিয়েছিলেন, ফুলহ্যামের বিপক্ষে দলে থাকতে পারেন রোনালদো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দিলে ছিলেন না তিনি।
কোচ টেন হাগকে নিয়ে রোনালদো বলেন, ‘যদি তুমি আমাকে সম্মান না করো, তা হলে আমিও তোমাকে সম্মান করব না। আগে ফুটবলারদের সম্মান করো। তা হলে তোমাকেও ফুটবলাররা সম্মান করবে।’