চলমান রাজনৈতিক আন্দোলনে একমত হয়েছে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চ। সরকারবিরোধী বৃহৎ রাজনৈতিক ঐক্য করতে এবার গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।
মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে সংলাপ শেষে এ কথা জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে জাতীয় আন্দোলন হবে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির আন্দোলন। এর মাধ্যমে আমরা একটি গণআন্দোলন গড়ে তুলবো।ফখরুল বলেন, আপাতত সরকার পতনের লক্ষে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করা হবে। পরে সমমনা দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে এ আন্দোলনকে বেগবান করবো। জনগণের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করতে সক্ষম হবো।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, জনগণের কাছে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং ফ্যাসিস্ট সরকার হঠানোর আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে প্রস্তাব করেছি একটি জাতীয় সরকার গঠনের। এ লক্ষে আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেছি। এরই অংশ হিসেবে আজ গণতান্ত্রিক মঞ্চের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যে মূল লক্ষ্য ছিল, আকাঙ্ক্ষা ছিল সেটাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে একদলীয় শাসক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে বর্তমান সরকার। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের জনগণ যে রাষ্ট্র গঠন করেছিল, সে রাষ্ট্র তাদের হাতে নেই। কর্তৃত্ববাদী সরকার জনগণের সব স্বপ্নকে ভেঙে চুরমার করেছে।এসময় বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
সংলাপে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের মধ্যে ছিলেন- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির আ স ম আবদুর রব, শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, শহীদুল্লাহ কায়সার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, আকবর খান, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, আবুল হাসান রুবেল, গণঅধিকার পরিষদের ফারুক হাসান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সৈয়দ হাসিব উদ্দিন হোসেন ও ইমরান ইমন প্রমুখ।