কুড়ি বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষা! ২০০২ সালে সর্বশেষ ও পঞ্চম বিশ্বকাপ জিতেছিল ব্রাজিল। এরপর দুই দশক কেটে গেলেও ‘হেক্সা’ জয়ের স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি সেলেসাওদের। ২০১৪ সালে নিজেরা আয়োজন করেও এই স্বপ্ন পূরণ করতে পারেনি তারা। কাতারে ব্রাজিলিয়ান সমর্থকদের ওই অতৃপ্তি কি ঘুচবে, বরাবরের মতো শিরোপা জয়ে অন্যতম ফেভারিট হিসেবে এবারের ফুটবল মহাযজ্ঞেও নামবে তিতের দল।
ক্লাব ফুটবলে পিএসজির হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মাঠে লড়াই করেন নেইমার ও লিওনেল মেসি। তাঁদের মধ্যে রয়েছে বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ক। ক্লাব ছেড়ে আসার আগে মেসির সঙ্গে বিশ্বকাপ নিয়ে আলাপচারিতা হয়েছে নেইমারের। নেইমার মজার ছলেই মেসিকে বলে এসেছেন আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে শিরোপা জিতবে ব্রাজিল, ‘আমরা এমনিতে বিশ্বকাপ নিয়ে খুব বেশি কথা বলি না। কিন্তু মাঝে মাঝে হাসিঠাট্টা করি। এই যেমন—ফাইনালে যদি আমাদের লড়াই হয়, তা হলে কী হবে? আমি তো মেসিকে বলেছি, তোমাদের হারিয়ে আমরাই চ্যাম্পিয়ন হব। পরে এ নিয়ে আমরা হাসাহাসিও করেছি। ’ আরেক সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নিয়েও কথা বলেছেন নেইমার। মেসি ও এমবাপ্পের মতো খেলোয়াড়ের সঙ্গে খেলতে পারাটা এই ব্রাজিলিয়ান তারকার কাছেও দারুণ ব্যাপার, ‘মেসি এবং এমবাপ্পের পাশে খেলতে পারা দারুণ অভিজ্ঞতা। ওরা দুজনেই অসাধারণ ফুটবলার। আর মেসিকে তো অনেক আগে থেকেই বিশ্বের সেরা ফুটবলার বলা হয়ে থাকে। ’
ক্লাব ফুটবলে সম্ভাব্য সব কিছু জিতেছেন ৩০ বছরের নেইমার। কিন্তু এখনো অধরা হয়ে আছে বিশ্বকাপ। জেতা হয়নি ব্যালন ডি’অরও। এবার বিশ্বকাপ জিততে না পারলে তাঁর ক্যারিয়ার অসম্পূর্ণ থাকবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে নেইমার বলেন, ‘না, ক্যারিয়ারে এমন কিছু অর্জন করেছি, যা আমি কল্পনাও করতে পারিনি। যদি আজই ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায় তবু আমি নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ মনে করব। ’
প্রত্যেক খেলোয়াড়ের স্বপ্ন থাকে বিশ্বকাপ জেতা। সেই স্বপ্ন আছে নেইমারেরও। বিশ্বকাপ জেতাটাই তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন, ‘আমার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন হলো বিশ্বকাপ জেতা। যখন থেকে বুঝতে শিখেছি ফুটবল খেলাটা কী, তখন থেকেই আমার স্বপ্ন বিশ্বকাপ জেতা। সেই স্বপ্ন সফল করতে আরো একটা সুযোগ পাচ্ছি। আশা করছি, কাতারে স্বপ্নটা সফল হবে। ’ কাতারে নেইমার কতটা সফল হবেন সেটা সময়ই বলে দেবে। কিন্তু ২০ বছর ধরে বিশ্বকাপ না জেতায় নেইমারদের ওপর প্রত্যাশার সঙ্গে বেড়েছে চাপও।