নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় সন্তানের মৃত্যুর শোকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন টুম্পা রানী (২৫) নামের এক গৃহবধূ।
গতকাল সোমবার বিকেলে চরঈশ্বর ইউনিয়নের রাজারহাওলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত টুম্পা একই এলাকার পল্লী চিকিৎসক সঞ্জয় মজুমদারের স্ত্রী ও চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার সুবল চন্দ্র মজুমদারের মেয়ে।
অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে এই দম্পতি একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন। পরে নবজাতক নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১৮ দিন বয়সে মারা যায়। এরপর থেকে টুম্পা অনেকটা অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকেন। তাঁর ধারণা অর্থের অভাবে সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। আরও বেশি টাকা খরচ করে চিকিৎসা করতে পারলে হয়তো সন্তানকে বাঁচানো যেত।
টুম্পার স্বামী সঞ্জয় মজুমদার জানান, তিনি বাজার থেকে মাছ-তরকারী নিয়ে বাড়ি এসে কয়েকবার টুম্পার নাম ধরে ডাকেন। বড় সন্তানে স্কুলে থাকায় ঘর বন্ধ ছিল। স্ত্রীর সাড়া না পেয়ে তিনি ঘরে প্রবেশ করেন। এ সময় ঘরের আড়ার সঙ্গে শাড়ি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় স্ত্রীকে ঝুলতে দেখেন। পরে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক টুম্পাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই বিষয়ে টুম্পার বাবা সুবল চন্দ্র দাসের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তাঁর মেয়ে টুম্পা সন্তানের মৃত্যুর পর থেকে অস্বাভাবিক আচরণ করছিল। সন্তান হারানোর শোক কাটিয়ে উঠতে পারছিল না। তাকে স্বাভাবিক করার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি চট্টগ্রাম থেকে রওয়ানা হচ্ছেন।