fbpx
শুক্রবার, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪
বাড়িঅন্যান্যচাকুরীরাইড শেয়ারিং ছাড়তে চাইছেন চালকরা

রাইড শেয়ারিং ছাড়তে চাইছেন চালকরা

প্রয়োজনের রাইড শেয়ারিং এখন বিলাসিতা।দু’ বছরের মধ্যে হুমকির মুখে পড়বে এই খাত।১৫০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে গন্তব্যে যেতে চায় যাত্রীরা।

তিন বছর আগে হিসাবরক্ষকের চাকরি ছেড়ে বেশি কামাইয়ের আশায় রাইড শেয়ারিং শুরু করেন শেরপুরের যুবক মুন্না তালুকদার। করোনায় যাত্রী কমে গেলেও শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলো কমিশন কমায়নি। অনেকটা ক্ষুব্ধ হয়েই রাইড শেয়ারিং অ্যাপ ব্যবহার বন্ধ করেন। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির আগে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে ২৫-৩০ হাজার টাকা আয় হতো। গত জুলাইয়ের পর এই আয় অর্ধেকে নেমেছে।

অন্যদিকে কয়েক দফায় বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম। খরচের যুদ্ধে টিকতে না পেরে প্রথমে পরিবারকে বাড়ি পাঠিয়েছেন। যাত্রী কমে যাওয়া, ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি সর্বোপরি পণ্যের দামের লাগামহীন ঘোড়ায় পরাস্ত এই যুবক বলেন, রাইড শেয়ারিং ছেড়ে দিয়ে নতুন করে আবার চাকরিতে ফিরবেন। শেরপুরে যে অ্যাগ্রো ফার্মে তিনি কাজ করতেন সেখানে যোগদান করতে পারেন।মুন্নার মতোই অবস্থা বেশিরভাগ ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল চালকের। তারা বলছেন, যারা অফিস কিংবা ব্যবসা করেন তারা শখের বসে অ্যাপ ব্যবহার করে রাইড শেয়ারিং করেন। যারা জীবিকা নির্বাহ করেন তারা অ্যাপ ছাড়াই রাইড শেয়ারিং করেন।

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট ও ইউরোপে যুদ্ধের অজুহাতে চলতি বছরের আগস্টে জ্বালানি তেলের দাম প্রায় ৫২ শতাংশ বাড়ানো হয়। কয়েকমাস পরে নামমাত্র কমানো হলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য দ্বিগুণের বেশি।

জানতে চাইলে অ্যাপ-বেইজড ড্রাইভারস ইউনিয়ন অব বাংলাদেশের ডিআরডিইউ সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমদ বলেন, ভালো নেই দেশের রাইড শেয়ারকারীরা। এটা আসলে রাইড শেয়ারিং নয়, রাইড হেলিং। সুবিধাবঞ্চিত রাখার জন্য এটাকে রাইডশেয়ারিং বলা হয়। চালকদের খাবারের টাকাই গোগাড় করা মুশকিল হয়ে গেছে, তারা গাড়ির মেইনটেইন কীভাবে করাবে। শারীরিকভাবে তারা ভেঙে পড়েছে। সড়ক থেকে মোটরসাইকেল কমেছে। এক-তৃতীয়াংশ ব্যক্তিগত গাড়ি কমে গেছে। হয়তো আগামী দু’ বছরের মধ্যে হুমকির মুখে পড়বে এই খাতটি।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Recent Comments