ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে রাশিয়ার চালানো একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দক্ষিণাঞ্চলীয় জাপোরিঝিয়া কমপক্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আরও অনেক শহরে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
সোমবার রুশ হামলায় এ ছাড়া ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে ব্লাকআউটের শংসয়ে ইউক্রেন।
এর কয়েক ঘণ্টা আগে রাশিয়ার ভেতরে দুটি বিমানঘাঁটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, যাতে অন্তত তিন ব্যক্তি নিহত হন।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জ্বালানি কোম্পানি বলছে, এ হামলায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে কোনো কোনো জায়গায় বিদ্যুৎ নেই। ওডেসায় পানি সরবরাহেও বিঘ্ন ঘটেছে।
জাপোরিঝিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন, আবাসিক এলাকার ওপর এ হামলায় অন্তত দুজন মারা গেছেন।
রাজধানী কিয়েভে সম্ভাব্য বিমান হামলার সাইরেন বেজে উঠলে বহুলোক পাতাল রেলের স্টেশনে আশ্রয় নেন।
এর আগে রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সামরিক বাহিনীর দুটি বিমানঘাঁটিতে বিস্ফোরণ হয়। এতে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে। এ দুটি জায়গাই ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে কয়েকশ কিলোমিটার দূরে।
কীভাবে এ বিস্ফোরণ হলো তার বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।
মস্কোর দক্ষিণপূর্বে রায়াজান শহরের কাছের একটি এয়ারফিল্ডে একটি তেলের ট্যাংকার বিস্ফোরিত হলে তিনজন নিহত এবং ৬ জন আহত হন বলে সরকারি মিডিয়া বলছে।
অন্য আরেকটি বিস্ফোরণে দুজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ বিস্ফোরণটি হয় সারাতোভ অঞ্চলের একটি বিমানঘাঁটিতে, যেখানে রাশিয়ার দীর্ঘ পাল্লার বোমারু বিমান রাখা হয়। একটি রুশ খবরে বলা হয়েছে— ওই অঞ্চলের অ্যাঙ্গেলস বিমানঘাঁটিতে একটি ড্রোন এসে পড়ে এবং তাতে দুটি টিইউ-৯৫ বোমারু বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এর আগে রুশ-অধিকৃত ক্রিমিয়ার ভেতরে কিছু ঘাঁটিতে ইউক্রেন আক্রমণ চালিয়েছে।
অন্যদিকে রুশ সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, প্রেসিডেন্ট পুতিন আজ দখলকৃত উপদ্বীপ ক্রিমিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সংযোগকারী সেতুটি ঘুরে দেখেছেন।
গত অক্টোবরে এক বিস্ফোরণে সেতুটির ব্যাপক ক্ষতি হয়।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ফুটেজে দেখানো হয়, রুশ প্রেসিডেন্ট কার্চ ব্রিজের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছেন।