বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরপুরের জুয়ানপুর ঘাটপার এলাকায় বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ২ শিশুকে কাঁধে নিয়ে করতোয়া নদী পার হওয়ার সময় চন্দন দাস (৪২), তার মেয়ে কিরণ (৮) ও ভাতিজা গদাধরের (৯) মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের চণ্ডীজান হিন্দুপাড়া গ্রামের ব্রজেন দাসের ছেলে চন্দন দাস মাছ ধরার জন্য তার মেয়ে কিরণ ও ছোটভাই উজ্জ্বল দাসের ছেলে অরূপ কুমার দাসকে (গদাধর) কাঁধে নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জুয়ানপুর ঘাট দিয়ে করতোয়া নদী পার হচ্ছিলেন। এ সময় নদীর মাঝখানে গেলে স্রোতে মধ্যে পড়ে শিশু দুটিসহ চন্দন পানিতে ডুবে যায়।
পাশে থাকা সঞ্জয় দাস তাদের ডুবে যেতে দেখে চিৎকার দিলে নদীর দুই পাড়ের লোকজন ছুটে এসে চন্দন ও কিরনকে উদ্ধার করে। পরে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
অপর শিশু অরূপ কুমার দাস নদীতে নিখোঁজ থাকে। পরে খবর পেয়ে শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে তার লাশ উদ্ধার করে। শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রতন হোসেন জানান, শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বিকাল ৩টার পর ভাতিজা অরূপের লাশ উদ্ধার করে।
তিনজনের মৃত্যুতে শুধু ওই পরিবারে নয়, পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।