রংপুরে পরিবার এর কাছে দাবীকৃত চাঁদা না পেয়ে, সেই পরিবারের ১১ বছরের শিশুকে দেওয়ায় শিশুকে কুপিয়ে গাড়ির নিচে ফেলে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। কোতোয়ালি থানার এসআই রফিক জানান, আব্দুর রশীদ (১১) নামে এক শিশুকে কুপিয়ে গাড়ির নিচে ফেলে হত্যার অভিযোগ পেয়েছেন তারা।
রশীদ শহরের সাতগাড়া মিস্ত্রিপাড়া এলাকার শহিদার রহমানের ছেলে। রশীদের ফুফু নাজমা বেগম অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার সামনেই শহরের টেক্সটাইল মোড় এলাকায় রশীদকে হত্যা করা হয়।
“এলাকার মোজাফফর, তার সহযোগী মন্টি, জয়, বেলালসহ কয়েকজন আমার ভাতিজাকে ছোরা দিয়ে কোপায়। আমি ঠেকানোর চেষ্টা করলেও তারা রশীদকে একটা চলন্ত বাসের নিচে ফেলে দিয়ে হত্যা করে।”
রশীদের বড় ভাই মোহন বলেন, “মোজাফফর এলাকার যার-তার কাছে চাঁদা চায়। জোর করে টাকা কেড়ে নেয়। স্কুল-কলেজের মেয়েদের ওড়না ধরে টান দেয়। কেউ এসবের প্রতিবাদ করলে দলবল নিয়ে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে আহত করে।
“আমি চাঁদা দেইনি। তার বাবার কাছে বিচার চাইছি। এ কারণে আমার ছোট ভাইকে হত্যা করেছে।”
এই বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) রাজীব এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক সচেতন বার্তাকে মুঠোফোনে মামলার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে বলেন, “যেহেতু শিশুটি মারা গেছে তাই এটি হত্যা মামলা হিসেবেই নেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, নিহত শিশুটির ভাই এর নিকট থেকে ৩ দিন আগে ২৭ তারিখে আসামী ৫০০ টাকা কেড়ে নিয়েছিল। তারা গতকাল রাতে আসামীর ভাই এর দোকানে শিশুটির বাবা সহ মিমাংসার জন্য বসলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আসামী শিশুটিকে ধাওয়া করলে শিশুটি দৌড়ে পালাতে গিয়ে বাসের বডির সাথে ধাক্কা খায়। মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হওয়ার ফলেই শিশুটির মৃত্যু ঘটে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, এটিই চুড়ান্ত রিপোর্ট নয়। মামলাটি এস আই রফিকুলের তদন্তাধীনে আছে। তদন্ত শেষেই হত্যার প্রকৃত কারন নিশ্চিত করে বলা যাবে।
উল্লেখ্য যে, আজ সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজের পেছনের ড্রেন থেকে একটি নবজাতকের মৃতদেহ উদ্ধার করে এক প্রতিবন্ধী। পরে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এই বিষয়ে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে বা মৃত নবজাতকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে ওসি (তদন্ত) রাজীব জানান, “এস আই জিয়াউর বিষয়টি তদন্ত করছেন, এখন পর্যন্ত পরিচয় নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি।”