বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত গুম শব্দটি পরিচিত ছিল না।’ নিজ দলের প্রায় পাচঁশো নেতাকর্মী গুমের শিকার হয়েছে দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘গুম সম্পূর্ণ মানবতাবিরোধী একটি অপরাধ।এর বিচার একদিন-না-একদিন হবেই।’
আজ শুক্রবার রাজধানীতে গুমের শিকার কয়েকটি পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসে রাজধানীতে বিএনপির কর্মসূচি ছিল গুম হওয়া নেতাকর্মীদের বাসায় গিয়ে তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো। এর অংশ হিসেবে শুক্রবার বিকেলে বিএনপি মহাসচিব যান নাখালপাড়ায় বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাসায়। এর আগে উত্তরখানে গুম হওয়া বিএনপি কর্মী নিজামুদ্দিন মুন্নার বাসায় তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। নিখোঁজ ব্যক্তির স্বজনেরা বিএনপি মহাসচিবকে পেয়ে তাঁদের দুর্দশা তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল গুম হওয়া বিএনপির নেতাকর্মীর সংখ্যা পাঁচশো ছাড়িয়ে গেছে বলে দাবী করলেও সাংবাদিকদের কাছে গুম হওয়া নেতা-কর্মীদের কোন তালিকা প্রকাশ করেন নাই।
এরপর বিএনপির মহাসচিব যান বনানীতে নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর বাসায়। সিলেটের নেতা ইলিয়াস আলী ছিলেন বিএনপির অন্যতম সাংগঠনিক সম্পাদক। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ ইলিয়াস আলীর বাসায় এসেছি। ওর ছোট মেয়ে আমাদের সামনে আসেনি। সে অনেক বিব্রতবোধ করে, কষ্ট পায়। অথচ ছয় বছর আগে যখন আসতাম। ফুটফুটে একটা বাচ্চা। প্রতিদিন বাবার জন্য অপেক্ষা করত।’
এ সময় মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক ভিন্নমতের কারণেই তাদের নেতাকর্মীদের গুম করা হয়েছে, যার কোন বিচার হয়নি। বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এই যে এনফোর্স ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স। এটা সম্পূর্ণ মানবতাবিরোধী একটা অপরাধ। আওয়ামী লীগ সরকার আসার পরই আমরা এ শব্দটার সঙ্গে পরিচিত হলাম।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একটা জিনিসে বিশ্বাস করি একদিন এই মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বিচার হবেই। আজকে বাংলাদেশে গণতন্ত্রহীনতা আছে, জনগণের প্রতিনিধি নেই। সত্যিকারের অর্থে যেদিন জনগণের প্রতিনিধির সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে সেদিন এর বিচার অবশ্যই হবে।’