রোববার দুপুরে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সায়েন্স ল্যাবে হামলার ঘটনায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম টার্গেট ছিলেন না। পুলিশের আইজি এবং ঢাকার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে তার আলাপ হয়েছে। তারা নিশ্চিত করেছেন, এ হামলায় মন্ত্রী টার্গেট ছিলেন না। টি টেস্ট কেস হতে পারে। হয়তো বড় ধরনের কোনও হামলার পরিকল্পনা আছে। তবে ছোট ছোট ঘটনার মধ্য দিয়ে একসময় যে মন্ত্রী-সাংসদ ও রাজনীতিবিদেরা টার্গেট হবে না, তা বলা যায় না।
পুলিশ বলছে দেশে কোনও আইএস নেই, অথচ সায়েন্স ল্যাবের ঘটনার দায় শিকার করেছে আইএস। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আইএস আছে কিনা বা এগুলো আইএসের নাম দিয়ে অপপ্রচার কিনা, তা দেখা দরকার। চূড়ান্ত প্রতিবেদন না পেলে আমি এ বিষয়ে বলতে পারবো না।’
আসামে ঘোষিত এই এনআরসি বাংলাদেশের জন্য কোনো হুমকি সৃষ্টি করবে কি না, এই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ভারতের আসাম রাজ্যে অবৈধ অভিবাসী শনাক্তকরণে প্রকাশিত চূড়ান্ত জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) সেদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ, আসাম প্রতিবেশী দেশের একটি রাজ্য। আমরা এনআরসির বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তারপরও আমরা সতর্ক রয়েছি। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্যআমরা প্রস্তুত।
তিনি আরো বলেন, যতোটুকু জানি, এই তালিকায় হিন্দুও আছে, মুসলমানও আছে। হিন্দুরা এই তালিকায় আছে ৬০ ভাগ, মুসলমানেরা ৪০ ভাগ। তবে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি এ কারণে যে, এটা নিয়ে আপিল করার সুযোগ আছে। এই মুহূর্তে কোনো সুইপিং কমেন্ট করা যাবে না।