আজ শনিবার ভারতের গণমাধ্যমগুলিতে বাংলাদেশ সম্পর্কে আবারো মিথ্যা, ভূয়া প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
আজ তাক বাংলা নামের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে “ঢাকায় ইসকনের মন্দিরে আগুন, ক্ষতিগ্রস্ত লক্ষীনারায়নের মূর্তি” শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশ হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণ অব্যাহত। শনিবার ঢাকায় ইসকনের মন্দিরে আগুন লাগানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইসকন বাংলাদেশের তরফে জানানো হয়েছে। একজন ইসকন ভক্তের ‘পারিবারিক মন্দিরে’ হামলা চালানো হয়েছে। কলকাতা ইসকন জানিয়েছে, ‘ইসকন নামহট্ট সেন্টার’-এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঢাকার তুরাং থানার অন্তর্গত ধৌর গ্রামের ঘটনা।”
প্রতিবেদন গুলোর সাথে নিচের ছবি দেওয়া হয়েছে।
আগুনের একটি প্রতীকী ছবি সংযুক্ত করে প্রতিবেদনটিতে আরও যেসব তথ্য প্রকাশ করা হয়, সেই তথ্যসমুহের পুরোটাই ভূয়া, মিথ্যা, কাল্পনিক ও নির্লজ্য মিথ্যাচার। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার। এসব খবর দিয়ে ভারত পশ্চিমাদের সহ বিশ্বকে বোঝাতে চায়, বাংলাদেশ একটি অনিরাপদ রাষ্ট্র, এখানে হিন্দুদের উপর প্রতিনিয়ত অন্যায়-অত্যাচার করা হয়। বিশ্ববাসীর কাছে এই মিথ্যা তথ্যকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্টিত করে বাংলাদেশকে হেয় প্রতিপন্ন করতে চায়।
শুধুমাত্র আজ তাক বাংলা নয়, একই শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করা আরও গণমাধ্যমগুলি হলো, এবিপি নিউজ, দ্য ওয়াল, টিভি নাইন বাংলা, সংবাদ প্রতিদিন, মাধ্যম, নজরবন্দি, টাইমস নাও খবর, খাস খবর ডট কম, প্রতিদিন টুয়েনটি ফোর সেভেন ছাড়াও অসংখ্য নিউজ পোর্টালে। এছাড়াও অসংখ্য ফেসবুক আইডি, ইউটীউব চ্যানেলসহ অন্যান্য সামাজিক মিডিয়ায় একই তথ্য ব্যাবহারে এই মিথ্যা খবরটি ছড়ানো হয়েছে।
প্রতিবেদন গুলোর সাথে নিচের ছবি গুলো দেওয়া হয়েছে।
এই মিথ্যাচার, ভূয়া প্রতিবেদন প্রকাশ আজই প্রথম নয়, বাংলাদেশের হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পর থেকে ভারতের মূলধারার গণমাধ্যমগুলিতে একের পর এক মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। এসকল প্রতিবেদনের ভাষা, উপস্থাপনা, তথ্য এবং চিত্র ও ভিডিও, কোন কিছু যাচাই না করেই তা প্রকাশ করা হচ্ছে ভারতের বহু সংখ্যক গণমাধ্যমে। বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে ভুয়া খবর ছড়াচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে, আবার সেগুলিই স্থান পাচ্ছে ভারতের নানা খবরের কাগজ-টিভিতে।
প্রতিবেদনের সাথে সংযুক্ত ছবি
ভারতের গণমাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে দেশের গণমাধ্যমকে সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে। আমাদের দেশে যে হিন্দু-মুসলমান বিদ্বেষ নেই, ধর্মীয় সম্প্রীতি রয়েছে, তা গণমাধ্যমে বেশি বেশি তুলে ধরতে হবে। একই সঙ্গে ভারতের যেসব মিডিয়া প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে সেগুলোর বিরুদ্ধে কাউন্টার প্রোপাগান্ডা সেল গঠন করে দেশের মিডিয়ারও সরব উপস্থিতি প্রয়োজন।’
প্রতিবেদনের সাথে সংযুক্ত ছবি