হাসিনাকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে কৌশলে বাংলাদেশে পাঠানো অথবা বিশ্বের অন্যকোন দেশে বন্দবস্ত করে দিয়ে হলেও দায় মুক্তির পরিকল্পনা করছে ভারত। চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। একজন ব্যক্তি হাসিনার জন্য গোটাদেশের মানুষের সাথে সম্পর্ক খারাপ করতে চাচ্ছে না ভারত। যে কারণে দ্রুত হাসিনা ইস্যুর সমাধানের পথে হাটার পরিকল্পনা করছে ভারত সরকার।
আদরের অতিথি এখন গলার কাটা। হাসিনাকে নিয়ে হঠাৎ বিপাকে পড়েছে মোদি সরকার। না পারছে গিলতে, না পারছে ফেলছে। হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার পর ভারত ভেবেছিলো। হয়ত কিছুদিন পর হাসিনাকে বিশ্বের অন্যকোন দেশে বন্দবস্ত করতে পারবে। কিন্তু বিশ্বের কোন দেশই হাসিনাকে জায়গা দিতে রাজি হয়নি।
শেখ হাসিনাকে দীর্ঘকালীন মেয়াদে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া যাবে কি না? তা নিয়ে ভারত সরকারে কাছে দু’রকম মতামত শোনা যাচ্ছে। অনেকেই এর পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। আবার বিপক্ষেও যুক্তি দিয়েছেন। আবার বাংলাদেশের ভিতরের এই মুহুর্তে যে পরিস্থিতির খবর আসছে। তাতে দিল্লি কি করণীয় তা নিয়ে পর্যবেক্ষক ও বিশ্লেষকদের মধ্যে রয়েছে স্পষ্ট দ্বিমত রয়েছে।
১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর তখন শেখ হাসিনাকে ভারত আশ্রয় দিয়েছিলো। কিন্তু তখন প্রেক্ষাপট ছিলো ভিন্ন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ায় ভালো ভাবে নিচ্ছে না বাংলাদেশের জনগণ। সুতরাং হাসিনা ইস্যুতে ভারতের বিশ্লেষকরাও স্পষ্টতই দু’ভাগে বিভক্ত হয়েছে।
একদল মনে করছে হাসিনাকে নিয়ে বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে যে সক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে। তাতে পরিস্থিতি আরোও বিগড়ে যাবে। বাংলাদেশে ভারতীয় স্থাপনা, শিল্পকারখানা ভারতীয় জনগণের প্রতি পরিস্থিতি আরোও খারাপের দিকে যেতে পারে।
দিল্লিতে রয়েছে আরেক মতবাদ। ভারত যদি বাংলাদেশের এই পরিস্থিতিতে হাত ঘুটিয়ে বসে থাকে। তাহলে ঘরের পাশে আরেক মৌলবাদী শক্তি মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। এমনকি লক্ষ লক্ষ হিন্দু শরণার্থীর ধাক্কা সামলানোর জন্যও প্রস্তুত থাকতে হতে পারে। যে ধাক্কা রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশকে যে পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে।
সব মিলিয়ে হাসিনাকে নিয়ে ভারত যে স্পষ্টতেই চাপে আছে। তা বোঝা যাচ্ছে। সূত্রঃ দৈনিক জনকন্ঠ।