“নাটোরের সিংড়া উপজেলায় এক পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার ১ নম্বর শুকাস ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রাম থেকে আজ শনিবার দুপুরে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
‘নিহত গৃহবধূর নাম ফারজানা আক্তার। তিনি পুলিশ কনস্টেবল মো. রায়হান আলীর স্ত্রী। রায়হান বর্তমানে জয়পুরহাট পুলিশ লাইনসে কর্মরত।
‘সিংড়া থানার পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বছরখানেক আগে রায়হানের সঙ্গে বিয়ে হয় ফারজানার। বিয়ের পর থেকে প্রায়ই দুজনের মধ্যে ঝামেলা হতো। গতকাল শুক্রবার রাত আটটার দিকে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর গভীর রাতে ঘরে ফারজানার ওড়না প্যাঁচানো লাশ দেখতে পান তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। পরে রাতেই বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
‘নিহত গৃহবধূর বড় ভাই মো. সুমন আলীর অভিযোগ, সন্দেহের বশে আগেও ফারজানাকে বেশ কয়েকবার মারধর করেছেন রায়হান। তাঁর বোনকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
‘সিংড়া থানার উপপরিদর্শক মো. রুস্তম আলী প্রথম আলোকে বলেন, গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। নিহত ফারজানার গলায় দাগ আছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
‘সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ফারজানার স্বামী জয়পুরহাট পুলিশ লাইনসে কর্মরত। বিষয়টি নাটোর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের মাধ্যমে জয়পুরহাট পুলিশ সুপার কার্যালয়কে জানানো হয়েছে। তাঁদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”