“আলো ছড়াচ্ছে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার গোলাম-বানু হাসপাতালটি। এখানে গ্রামের সাধারণ মানুষ নামমাত্র মূল্যে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন। জরুরি মুহূর্তে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য কাউকে ছুটতে হয় না জেলা সদরে। গর্ভবতী নারী ও শিশুদের চিকিৎসায় হাসপাতালটিতে রয়েছে আধুনিক ব্যবস্থা।
‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন, গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবায় অবদান রাখছে গোলাম-বানু হাসপাতাল।
‘২০১২ সালে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদা গ্রামে ১০ শয্যাবিশিষ্ট গোলাম-বানু হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা শামসুল আলম জোয়ার্দ্দার। হাসপাতালটিতে পাঁচ শয্যা করে দুটি নারী ও পুরুষ ওয়ার্ড রয়েছে। রয়েছে ইসিজি, প্যাথলজি, আল্ট্রাসনোগ্রাফি ও অত্যাধুনিক অপরারেশন থিয়েটার। ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে জরুরি বিভাগ। চিকিৎসা সেবায় রয়েছেন চিকিৎসক, নার্স, প্রশিক্ষিত ধাত্রী ও আয়া। নামমাত্র টাকায় স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ায় খুশি এলাকার মানুষ।
‘নিয়মিত চিকিৎসা কার্যক্রমের পাশাপাশি মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন করতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করা হয় বলে জানালেন চিকিৎসকরা।
‘চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা গোলাম-বানু হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আবু সালে মোহা. ইমরান বলেন, মাঝে মাঝে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প হয়। এখানে মা ও শিশুদের নিয়ে কাজ করা হয় এবং তা খুবই অল্প মূল্যে।
‘তৃণমূলের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গোলাম-বানু হাসপাতালের কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
‘আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন আলী বলেন, স্বল্প মূল্যে চিকিৎসা দেয়ার এ উদ্যোগ খুব মহৎ। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।
‘আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাসহ আশপাশের ২০টি গ্রামের মানুষ এ হাসপাতালে নিয়মিত স্বাস্থ্য সেবা নিচ্ছেন।’