নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার পৌর সদরের আনন্দনগর মহল্লায় আত্মহত্যা করে ভালোবাসার সমাপ্তি টানলো প্রেমিক সোহাগ আহম্মেদ(১৯) আর প্রেমিকা জাকিয়া ইসলাম জান্নাত(১৭) হারপিক খেয়ে করেছে আত্মহত্যার চেষ্টা।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ভালোবাসার সমাপ্তিতে প্রেমিক প্রেমিকা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। নিহত সোহাগ আনন্দনগর এলাকার মোঃ শফিকুল ইসলামের ছেলে এবং জাকিয়া ইসলাম জান্নাত উপজেলার পৌর সদরের খামারনাচকৈড় মহল্লার মোঃ জহুরুল ইসলামের মেয়ে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত সোহাগ রাজশাহী পলিটেকনিকে ডিপ্লোমা ২য় বর্ষে পড়াশোনা করতো এবং জাকিয়া ইসলাম জান্নাত রাজশাহী সিটি কলেজে এইসএসসি ২য় বর্ষে পড়াশোনা করতো। সেই সূত্রে দুজনের মধ্যে একটা প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। গত ৬ মাস যাবৎ তাদের এই প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো। সর্বশেষ দুইজনই বাড়িতে এসেছিলো। বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার চলনবিল বিলশাতে তারা ঘুরতে যায়। তাদেরকে প্রতিবেশিদের মধ্যে কেউ একজন দেখতে পে্যে, মেয়ে জাকিয়া ইসলাম জান্নাতের পরিবারকে অজ্ঞাত একজন অবগত করে তার মেয়ে একটা ছেলের সাথে ঘুরাঘুরি করছে। সেই কথা জানতে পেরে পরিবার থেকে তাকে বকা দেয়। এক পর্যায় জাকিয়া ইসলাম জান্নাত তার প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান করে বিয়ের দাবিতে। বিয়ে না করলে সে আত্মহত্যা করবে বলে জানায় প্রেমিক সোহাগের পরিবারকে। পরে সোহাগ বিয়ে করবে না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। দুই পরিবারের সমঝোতার মাধ্যমে তাদের দু জনের বিয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে পরিবারের লোকজন।
পারিবারিক ভাবে উভয়ের পরিবার বিয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, এ কথা শুনেই প্রেমিক সোহাগ পাশেই তার চাচার বাড়িতে গিয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে। প্রেমিকের আত্মহত্যার কথা শুনে প্রেমিকা জাকিয়া ইসলাম জান্নাত শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকালে হারপিক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্ঠা করে। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে সুস্থ্য করা হয়।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো.মোজাহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে একটি ইউডি মামলা হয়েছে। উভয় পক্ষের অভিযোগ না থাকায় মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।