বুধবার সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল বিক্ষোভ মিছিল করছিল। ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা ছাত্রদলের মিছিলে ধাওয়া করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে ছাত্রদলের মিছিলটি শুরু হয়। পরে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে ভাস্কর্যের পাদদেশে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় সেখানে ছাত্রলীগ নেতা মাহবুবুল হক রাফার নেতৃত্বে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করা হয়।
বিক্ষোভকারী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ব্যানার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পরে ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা দৌড়ে ক্যাম্পাস ছাড়েন।
এ বিষয়ে জাবি শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম সৈকত বলেন, ‘আমরা কোনো সহিংসতা চালাতে ক্যাম্পাসে আসিনি। একটি হত্যার বিচার চাইতে এসেছিলাম। কিন্তু সেখানেও ছাত্রলীগ বাধা দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘চাইলে পাল্টা হামলা চালাতে পারতাম। কিন্তু আমরা সহাবস্থান চাই, তাই পাল্টা হামলা চালাইনি। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের সাথে কথা হয়েছে। প্রশাসন বলেছে বিষয়টি তারা দেখবে।’
মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
অমর একুশে ভাস্কর্যের পাদদেশের সমাবেশে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল রানা বলেন, ‘আমরা আবরার ফাহাদ হত্যার তীব্র নিন্দা জানাই এবং এই হত্যার সাথে যারা জড়িত সেসব হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এ সময় তিনি খালেদা জিয়ার মুক্তিও দাবি করেন।’
শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম সৈকত বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে শনিবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে যে স্ট্যাটাস দেন আবরার ফাহাদ তা ঐতিহাসিকভাবে সত্য। এটা শুধু আবরারের মনের কথা নয় এটা সমগ্র বাংলাদেশের দেশপ্রেমী মানুষের মনের কথা। দেশের স্বার্থ বিরোধী কোনো চুক্তি স্বাধীন দেশের কোনো দেশপ্রেমিক মানুষ মেনে নিতে পারে না।’
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরাও।