প্রেমিক-প্রেমিকার উভয়ের সম্মতিতে যৌন সম্পর্ক স্থাপন হওয়ার পর প্রেমিকার সঙ্গে বিচ্ছেদ করলে তা কোনোভাবেই অপরাধ বলে ধরা হবে না। এমনই রায় দিলেন দিল্লি হাইকোর্ট।
২০১৬ সালে প্রেমিকের সঙ্গে একটি হোটেলের ঘরে স্বেচ্ছায় যান এক যুবতী। সেখানে দুইজনের সম্মতিতেই যৌন সম্পর্ক স্থাপিত হয়। যুবতীর দাবি, সেই সময়ে তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন প্রেমিক। কিন্তু তারপরই তার সঙ্গে সব সম্পর্ক ভেঙে দেন। এরই ভিত্তিতে পুলিশে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবতী। কিন্তু পরে তার কোনও অভিযোগই প্রমাণিত হয় না। মামলা গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত।
দিল্লি হাইকোর্ট জানান, প্রেমিকা যদি যৌন সম্পর্কে না বলে, তাহলে যেমন তার মতকে সম্মান জানানো বাধ্যতামূলক, তেমনই হ্যাঁ বলার মানে হ্যাঁ-ই থাকবে। খবর এই সময়ের।
এই মামলার শুনানিতেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মুক্তি দিয়ে বিচারপতি বিভু বাখরু বলেন, দুই প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ স্বেচ্ছায় শারীরিকভাবে মিলিত হলে এবং পরে প্রেমিক আর সম্পর্ক রাখতে না চাইলে, ভারতীয় দণ্ডবিধিতে তাকে কোনোভাবেই অপরাধী বলা যাবে না। আদালত আরও বলেন, যুবতীকে যে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল, সেটি তিনি প্রমাণ করতে পারেননি। এমনকি নিজের ডাক্তারি পরীক্ষা করাতেও রাজি হননি ওই যুবতী