সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে পাঁচ বছরের শিশু তুহিন হাসানকে মধ্যরাতে বাবা আব্দুল বাছির কোলে করে ঘরের বাইরে নিয়ে যান। পরে চাচা নাছির উদ্দিন ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ার তুহিনকে খুন করেন। পরে তুহিনের কান ও লিঙ্গ কেটে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, এ নির্মম খুনের ঘটনা তুহিনের বাবার সহযোগিতায় হয়েছে। এ ঘটনায় তুহিনের বাবাও জড়িত। তার সামনেই শিশু তুহিনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে শিশুটিকে নৃশংসভাবে হত্যার পর তাকে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেয় তারা।
আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মিজানুর রহমান বলেন, শিশু তুহিন হত্যাকাণ্ডের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন বাবা ও চাচা। হত্যার ঘটনায় সুনামগঞ্জের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তুহিনের চাচা নাছির উদ্দিন ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ার।
এর আগে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ভোরে তুহিনের মা বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে দিরাই থানায় হত্যা মামলা করেন। তবে যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাদের নাম এখনও জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, গেল রোববার রাতে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে শিশু তুহিনকে হত্যা করে গাছের সঙ্গে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে ঘাতকরা। এসময় তুহিনের পেটে দুটি ধারালো ছুরি বিদ্ধ ছিল। তার পুরো শরীর রক্তাক্ত, কান ও লিঙ্গ কর্তন অবস্থায় ছিল।