প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরাপদ সড়ক প্রসঙ্গে চালক-পথচারী থেকে শুরু করে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “মানুষ মোটেও সচেতন নয়। চালক থেকে শুরু করে সবার সচেতন হওয়া একান্তভাবে প্রয়োজন।”
তিনি সচেতনতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে স্কুল থেকেই ট্রাফিক আইন সম্পর্কে পাঠদান এবং শিক্ষার্থীদের সচেতন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
উদ্বোধন করা প্রকল্পগুলো হচ্ছে- নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতায় চারলেনের ফ্লাইওভার, ময়মনসিংহ-গফরগাঁও-টোক সড়কে বানার নদীর ওপর সেতু, মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন সড়কে ১৩টি সেতু, পটিয়া বাইপাস সড়ক ও সাতক্ষীরা শহর বাইপাস সড়ক।
এসব উন্নয়নকাজের মধ্যে ৩৩৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতায় চারলেনের ফ্লাইওভার প্রকল্পটি নির্মাণ করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক বরাবর ১২৩৯ মিটার দৈর্ঘের একটি ও ঢাকা বাইপাস মহাসড়ক বরাবর ৬১১ মিটার চারলেনের দুই ফ্লাইওভার নির্মাণ এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক বরাবর ২.১৩ কিলোমিটার এবং ঢাকা বাইপাস সড়ক বরাবর ১.০৮৪ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণ করা হয়।
ময়মনসিংহ-গফরগাঁও-টোক সড়কে বানার নদীর ওপর ২৮২.৫৫৮ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয় ৩২ কোটি ৯০ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
ভোমরা স্থলবন্দর সংযোগসহ সাতক্ষীরা শহর বাইপাস সড়ক নির্মাণ প্রকল্পটি নির্মাণে ব্যয় হয় ১৮৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা। মহাসড়কটিতে ৩টি ব্রিজ, ৫০টি কালভার্টও নির্মাণ করা হয় এ প্রকল্পে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কের ইন্দ্রপুল থেকে চক্রশালা পর্যন্ত বাঁক সরলীকরণ প্রকল্প (পটিয়া বাইপাস সড়ক) বাস্তবায়নে খরচ হয় ৮৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
এ ছাড়া মুন্সীগঞ্জ সড়ক বিভাগের অধীন ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর পরিবর্তে ১৩ স্থায়ী কংক্রিট সেতু নির্মাণ করা হয়। এসব সেতুরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে প্রধানমন্ত্রী এসব এলাকার উপকারভোগীসহ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময় করেন।
বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব উন্নয়নকাজ রক্ষণাবেক্ষণে সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানান।
গণভবন থেকে আরও বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান।
উদ্বোধন হওয়া উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ নিয়ে ভিডিওচিত্র উপস্থাপন করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম।