ভোটারবিহীন নির্বাচন হয়েছে বলে ১৪দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন যে মন্তব্য করেছেন তার প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উনি এতদিন পরে কথা বলছেন কেন? তিনি মন্ত্রী হলে কি এমন কথা বলতেন।
রোববার সচিবালয়ে সমসাময়িক রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৪ দলের বৈঠকে মেননকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হবে। তার মন্তব্যের ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।
যুবলীগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, দলের সভাপতি যাকে চাইবেন, তাকে মিটিং-এ ডাকতে পারেন, সন্ধ্যার মিটিং-এ ওমর ফারুক চৌধুরী থাকবেন কি না সেটা দলের সভাপতির সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলনের মধ্য দিয়ে এসব সংগঠনের নেতৃতে বিতর্কিত যারা রয়েছেন, তারা অবশ্যই বাদ পড়বেন, তারা পূনরায় নেত্বতে আসতে পারবেন না।
কাদের আরো বলেন, খালেদা জিয়ার কারাগার থেকে মুক্তির বিষয়টি পুরোপুরি আইনী বিষয় হলেও বিএনপি এটা নিয়ে রাজনীতি করছে, সরকারের উপর দায় চাপাচ্ছে, কিন্তু তার মুক্তি নিয়ে আন্দোলনের কথা মুখে বললেও এখনও বিএনপি কোনো আন্দোলন করে দেখাতে পারেনি খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করার ব্যাপারে, সরকার তো তাদেরকে আন্দোলন করতে বাঁধা দিচ্ছে না!! সবকিছুই তাদের মুখের কথা বলে জানিয়েছেন সেতুমন্ত্রী।
এর আগে শনিবার বরিশালে এক অনুষ্ঠানে রাশেদ খান মেনন বলেন, বিগত নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীসহ আমিও বিজয়ী হয়ে এমপি হয়েছি। এরপরও আমি সাক্ষী বিগত নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। বিগত জাতীয়, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি দেশের মানুষ। মেনন প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করেন, কেন দেশের মানুষ বিগত নির্বাচনগুলোতে ভোট দিতে পারেনি।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনি-আমি মিলে যে ভোটের জন্য লড়াই করেছি, মনোনয়ন জমা দেয়ার পরও আজিজ কমিশনকে ঘেরাও করেছি, আমরা ১ কোটি ১০ লাখ ভুয়া ভোটার তালিকা ছিঁড়ে ফেলে নির্বাচন বর্জন করেছি- তা এ নির্বাচনের জন্য নয়।
তিনি বলেন, উন্নয়ন মানে গণতন্ত্র হরণ নয়, উন্নয়ন মানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ নয়। আজ দেশের মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতনা কেড়ে নিয়েছে সরকার। তাই মুখ খুলে কেউ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারছে না।
সাবেক মন্ত্রী মেনন বলেন, ক্যাসিনো মালিকদের ধরা হচ্ছে, দুর্নীতিবাজদের ধরা হচ্ছে। কিন্তু দুর্নীতির আসল জায়গাগুলোতে হাত দেয়া হয়নি। তারা নির্বিঘ্নেই রয়েছে। সেই দুর্নীতিবাজদের বিচার কবে হবে, তাদের সাজা কবে হবে, তাদের সম্পদ কবে বাজেয়াপ্ত হবে প্রশ্ন রাখেন মেনন।