বরিশালে ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) এক ছাত্রীকে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির কতিপয় সিনিয়র ছাত্রীর বিরুদ্ধে।
শুক্রবার রাতে এ ঘটনার শিকার প্রতিষ্ঠানটির ফিজিওথেরাপি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী আমিনা খাতুন আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। তাকে শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমিনা খাতুনের বাড়ি বগুড়া জেলায়। তিনি আইএইচটির ছাত্রীনিবাসে থেকে লেখাপড়া করেন।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানের জুনিয়র ছাত্রীরা দীর্ঘদিন ধরে সিনিয়র ছাত্রীদের র্যাগিংয়ের শিকার হচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ‘ডিপ্লোমা মেডিকেল স্টুডেন্ট অ্যান্ড নেটওয়ার্ক’ গ্রুপে আমিনা শুক্রবার সকালে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে প্রতিবাদ জানান। সন্ধ্যায় কয়েকজন সিনিয়র ছাত্রী তাকে ছাত্রীনিবাসের ডাইনিং রুমে ডেকে নিয়ে অশ্নীল ভাষায় গালাগালসহ মানসিক নির্যাতন করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আমেনা খাতুন জানান, ডাইনিংরুমে ল্যাবরেটরি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের জুঁই, মৌ ও ফাতেমা এবং একই বর্ষের ফিজিওথেরাপি বিভাগের লামমিমসহ অনেকে তাকে অশালীন ভাষায় গালাগাল ও তার পরিবার তুলে কটাক্ষ করেন। মোবাইল ফোনে এর ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকিও দেন।
আইএইচটির ছাত্রী হোস্টেলের ডেপুটি সুপার সুবোধ রঞ্জন মণ্ডল জানান, এ ঘটনায় আমেনা খাতুন অনেকগুলো নাপা ট্যাবলেট খায়। এতে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিয়ে তার পাকস্থলী ওয়াশ করা হয়। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে আমেনা। তিনি আরও বলেন, কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে অভিযুক্তদের অন্যতম লামিয়া সিকদার লামমিম দাবি করেন, আমেনাকে অপমান করা হয়নি।
আইএইচটির অধ্যক্ষ ডা. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, শনিবার ক্যাম্পাসে সব শিক্ষার্থীকে ডেকে বাড়াবাড়ি না করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখতে উপাধ্যক্ষকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে ৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে সে অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।