ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ক্যাম্প শুরু করেছিল বাংলাদেশ দল ভারত সফরের আগে। এর মধ্যেই হঠাৎ ধর্মঘট ডেকে বসেন ক্রিকেটাররা। ভেস্তে যায় সব উদ্দীপনা। ক্রিকেটারদের এই আন্দোলনের পেছনে ষড়যন্ত্র দেখছে ক্রিকেট বোর্ড।
গত সোমবার ক্রিকেটারদের সংবাদ সম্মেলনের আগ মুহূর্তে একাডেমি মাঠে সাকিবের উপস্থিতির পরই যে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত হয় সে বিষয়েও নিশ্চিত হয়েছে বোর্ড। ভারত সফরকে পুঁজি করে ক্রিকেটারদের এভাবে বিভ্রান্ত করার আয়োজন বলে ধারণা ক্রিকেটপাড়ার বড় অংশের।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের দাবি, ষড়যন্ত্রের শুরুটা হয় আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচ থেকে। নবীন দলটির বিরুদ্ধে হারার পেছনেও দায়ী সাকিব।
ধর্মঘটের বিষয়ে সাকিব বলেছেন, তিনি ক্রিকেটারদের দাবি-দাওয়া আদায়ের চেষ্টা করেছেন।
এ প্রসঙ্গে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘খেলোয়াড়দের আমরা বলেছিলাম ওরা কোনো টেলকোর সঙ্গে চুক্তি করতে পারবে না। যেন সামনের বছর টেলকোগুলো টিম স্পন্সরের দরপত্রে অংশগ্রহণ করে। তবু জেনে শুনে কি সাকিব এই বে-আইনি কাজটা করতে পারে? আমি কি যা খুশি তা-ই করতে দেব ওদের! সময়টাও দেখুন। জানুয়ারিতে আমি নতুন স্পন্সরের দরপত্রে টেলিকম কোম্পানিকে আর পাব না। বা এলেও ওরা কম টাকা দিতে চাইবে। এভাবে যে আমাদের ফাঁদে ফেলল, এতে ক্ষতিটা কার? এতে শুধু একজন খেলোয়াড় লাভবান হলো, কিন্তু আমার ক্রিকেট দলের কী হবে?’
বোর্ড সভাপতি বলেন, ‘এ রকম গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ একটা নিয়ম সে (সাকিব) ভাঙল, কেন? নিশ্চয়ই এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র আছে।’