রাজধানীর রায়েরবাজার ব্রিজের ঢালে প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলছিলেন আরিফুল ইসলাম সজল (১৯)। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুই বখাটে কিশোর তাকে ও তার প্রেমিকাকে উত্ত্যক্ত করছিল। প্রেমিকাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় প্রতিবাদ করে সজল। সঙ্গে সঙ্গে তাকে চড় থাপ্পড় দেয় বখাটে কিশোর।
এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরই সজল তার বন্ধুদের ডেকে আনলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যার কিছুক্ষণ পরই ওই কিশোর তার বখাটে বন্ধুরা এসে বাঁশ ও ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে সজলকে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় সজলকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসে তার প্রেমিকা ও স্থানীয়রা। রাত সাড়ে ৯টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাজারীবাগ থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) কাজী শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে পুলিশ গেছে। তদন্ত চলছে।
ঘটনার বিস্তারিত জানতে চাইলে ঢামেকে সজলের প্রেমিকা সানজিদা আক্তার দোলন সাংবাদিকদের জানান, সজলের সাথে তার ৩ মাস যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক। আজ সন্ধ্যায় সজল তার সাথে দেখা করতে রায়েরবাজার ব্রিজের ঢালে যায়। সেখানে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় কয়েকজন কিশোর তাকে উত্ত্যক্ত করে।
সজল এর প্রতিবাদ করায় ওই কিশোরদের মধ্যে একজন সজলকে চড় মারে। এ ঘটনার পর সজল তার কয়েকজন বন্ধুকে ফোন দিয়ে ডেকে আনলে ওই কিশোরদের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে আবার ওই কিশোররা দলবলে এসে সজলকে বাঁশ দিয়ে পেটায়। একপর্যায়ে তারা সজলকে ছুরিকাঘাত করে। তাকে উদ্ধার করে ঢামেকে আনলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন
নিহত সজলের বড় ভাই মাকসুদুর রহমান শান্ত জানান, সজল মোহাম্মদপুর গভর্মেন্ট কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাসা চকবাজার ইসলামবাগে। ৩ ভাই-বোনের মধ্যে মেঝো সে।
পরে রাতে দৈনিক সচেতন বার্তা হাজারীবাগ থানার ডিউটি অফিসার এর কাছে ঘটনা বিষয়ে কোন মামলা দায়ের হয়েছে কিনা ফোনে জানতে চাইলে, তিনি নিশ্চিত করেন রাত ৩.৩৫ (এএম) পর্যন্ত এই হত্যার বিষয়ে কোন মামলা দায়ের হয়নি।