ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নে এক কলেজছাত্রীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধর্ষণের পর সেই ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার বিকালে গ্রেফতারকৃত ওই আসামিদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে সকালের দিকে তাদের উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়ন থেকে গ্রেফতার করে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন- সাহাপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামের মানজুর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান (২২), রেজাউল মণ্ডলের ছেলে রাজিব মণ্ডল, আজিজুল ফরিরের ছেলে রাসেল (২০), দিয়াড় সাহাপুর গ্রামের মৃত আক্তার হোসেনের ছেলে রাব্বি হোসেন (২০), তরিকুল ইসলামের ছেলে শিহাব হোসেন (১৯), কেদু সাহ’র ছেলে শামিম হোসেন (২২), সোলাইমান হোসেনের ছেলে সৈকত হোসেন (২২), রাজ্জাক আহমেদের ছেলে রাজু আহমেদ (২০), সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে শফিউল ইসলাম সালমান (২১), সাহাপুর-এর দেবেন মহলদারের ছেলে ইমন আলী (২১), আশরাফুল ইসলামের ছেলে আশিক (২১), পৌর এলাকার সাঁড়া গোপালপুরের মাহাবুব আহমেদের ছেলে মাহফুজ আহমেদ (২০)।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী জানান, অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সদ্য বিবাহিত এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করা হয়। এরপর ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ায় ওই গৃহবধূর সংসার ভেঙে যায়। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১২ জন আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, গ্রেফতার যুবকদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সহ পর্নোগ্রাফি ও ডিজিটাল আইনে মোট তিনটি আইনের ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।