রাজধানীর দুই থানা এলাকা থেকে এক নারী ও এক পুরুষের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে পল্লবীতে বিলকিস আক্তার (২৬) ও দারুসসালামে রাজু (৩০) নামে একজনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় পৃথক এই দুই ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। মরদেহ দু’টি আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পল্লবীতে টিনশেড ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় বিলকিসের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার বাড়ি লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলা এলাকায়। স্বামীর সঙ্গে তার তালাক হয়েছিল। মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।
মরদেহটি উদ্ধার প্রসঙ্গে উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাওসার মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, বিলকিস তার খালাতো বোনের সঙ্গে সেকশন ১২ ব্লক এলাকার একটি টিনশেড বাড়িতে থাকতেন। তিনি স্থানীয় একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক ছিলেন।
অন্যদিকে দারুসসালাম টাওয়ারের পেছনে ১৯ নম্বর বাড়ির ৪ তলার ছাদের উপরে একটি রুমের দরজা ভেঙে রাজুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের সময় মরদেহ পচা শুরু হয় এবং প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ছড়ায়। তিনি বনানীর একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে চাকরি করতেন। রাজশাহীর পবা উপজেলার এনামুল হকের সন্তান রাজু। তিনি একাধিক বিয়ে করেছিলেন।
দারুসসালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, মরদেহটি এতটাই পচা ছিল যে দেখে মনে হচ্ছে চার থেকে পাঁচ দিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে। গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ফ্যানের সঙ্গে মরদেহ ঝুলন্ত ছিল। সিআইডি ক্রাইম সিনকে খবর দেওয়া হয়েছিল। তারা ঘটনাস্থলে এসে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেছে।
উভয় মরদেহেরই ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।