বিভিন্ন সময় প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ২৮৬ বিয়ে করা লালমনিরহাটের যুবক জাকির হোসেন ওরফে রাব্বীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে লজ্জা পাচ্ছেন স্বয়ং তার স্ত্রীরা।
বিয়ের নামে অসংখ্য নারীর সাথে এই যুবকের মেলামেশার খবর বিভিন্ন মিডিয়াতে চাউর হওয়ার পর প্রথমে অনেক নারী থানায় স্বশরীরে এসে কিংবা ফোনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা কাছে অভিযোগ দাখিল করলেও এখন তারা নিজেরাই আর পরিচয় দিতে চাচ্ছেন না।
কোনো কোনো গণমাধ্যমে জাকিরের স্ত্রী হিসেবে কয়েকজন নারীর নাম আসায় তারা রীতিমতো নাখোশও হয়েছেন। এতে তাদের সামাজিক মর্যাদা বা আগামী দিনের পথ চলায় সমস্যার আশঙ্কায় তারা পরিচয় গোপন রাখার পথে হাঁটছেন।
জাকিরের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তৌফিক আহমেদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, জাকিরের বিরুদ্ধে যেসব নারীরা অভিযোগ করছেন তারা কেউই চান না নিজেদের পরিচয় প্রকাশ হোক। তাই তারা কেউ কোনো মিডিয়াতে কথা বলতে রাজি হচ্ছেন না। আমরা মামলার তদন্তের স্বার্থে নারীদের পরিচয় গোপন রেখেই তদন্ত কাজ এগিয়ে নিচ্ছে।
এর আগে, গত বুধবার রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলা করেন মণিপুরি পাড়ার একটি ছাত্রী হোস্টেলের ২৬ বছর বয়সী এক তরুণী। অভিযোগের ভিত্তিতে সে দিনই জাকির ও তার সহযোগী জায়েদা আক্তার শাপলাকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানাপুলিশ। পরদিন বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তৌফিক আহমেদ জাকিরের ৫ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড না চাওয়ায় শাপলাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এদিকে, ২৮৬ বিয়ে করা জাকিরকে নিয়ে দেশজুড়ে চলছে আলোচনা। এর মধ্যেই পুলিশ পেয়েছে আরো কিছু তথ্য। সেখান থেকে জানা যায়, প্রতারক জাকিরের শখ ছিল সে ৭শ’ বিয়ে করবে। এরপর সে যাবতীয় পাপ কাজ ছেড়ে দিয়ে দিব্যি নামাজ রোজা ধরবে এবং সৌদি আরবে গিয়ে পূণ্য অর্জন করারও ইচ্ছা ছিল তার। কিন্তু ২৮৬ বিয়ের পর ধর্ষণ মামলায় আটক হওয়ায় তার সেই বাসনা থমকে গেল।