রাজশাহী নগরের উজিরপুর থেকে লুট হওয়া চারটি গরু উদ্ধার এবং ভটভটিটিও জব্দ
মুল পরিকল্পনাকারীসহ হত্যা মিশনে সরাসরি অংশগ্রহণকারীরাও গ্রেফতার
রাজশাহী নগরীর দাশপুকুর এলাকায় এক ব্যাক্তিকে খুন করে গরু-বাছুর লুট করার ঘটনায় গত শনিবার ও রোববার রাজপাড়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করে।
সোমবার (৯ই ডিসেম্বর) রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার সাজিদ হোসেন রাজপাড়া থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় গ্রেফতার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হলেন, দাশপুকুর এলাকার আয়নাল মীরের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৮)। গ্রেফতারকৃত অপর সহযোগিরা হলো, বহরমপুর আলীগঞ্জ এলাকার তাহাসেন আলীর ছেলে মিলন (৩০) ও বহরমপুর এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে জিন্দার (৪৮), একই এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে হামিদুর রহমান বাবু (৩৫), হড়গ্রাম নতুনপাড়ার হারুনের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩৮), চন্দ্রিমা থানার উজিরপুর এলাকার আছের উদ্দীনের ছেলে আব্দুস সামাদ (৫০), জাবেদ আলীর ছেলে আবুল কাশেম (৪১) ও মকবুল আলীর স্ত্রী মোসা. আশুরা (৪৮)।
হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দিয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার সাজিদ বলেন, গত ৪ই ডিসেম্বর রাতে দাশপুকুর এলাকার আব্দুল মজিদকে খুন করে তার চারটি গরু লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়।
সাজিদ বলেন, শনিবার সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের পরই এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যা মিশনে সরাসরি অংশগ্রহণকারীদের রোববার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি জানান, আব্দুল মজিদকে প্রথমে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করানো হয়। এরপর আসামি মিলন ও জিন্দার মিলে হাত দিয়ে গলাটিপে শ্বাসরাধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এতে তারা ব্যর্থ হয়। পরে আসামি আরিফুল ইসলাম মাফলার দিয়ে গলা পেঁচিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে। এরপর তারা দুইটি গরু ও দুইটি বাছুর একটি ইঞ্জিন চালতি যান ‘ভটভটি’তে তুলে পালিয়ে যায়।
রাজশাহী নগরের উজিরপুর থেকে লুট হওয়া চারটি গরু উদ্ধার এবং ভটভটিটিও জব্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
গত ৪ই ডিসেম্বর রাতে দুবৃত্তরা দাশপুকুর বাইপাস সড়কের পাশে সরকারি খাস জমিতে চালা তুলে বসবাসকারী আব্দুল মজিদকে হত্যা করে এবং তার দুইটি গরু ও দুইটি বাছুর লুট করে নিয়ে যায়। দৈনিক সচেতন বার্তায় ঘটনার বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। নিহত আব্দুল মজিদের বড় ছেলে আব্দুস সালাম বাদি হয়ে রাজপাড়ায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।