বাংলাদেশী আমানীকারকদের ৬ দফা দাবী মেনে নেয়ায় ২৫ দিন পর সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে সোমবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে পাথর আমদানি । বন্দরে বেড়েছে কর্মচাঞ্চল্য।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারী থেকে ভারতের রপ্তানিকারকরা দফায় দফায় পাথরের দাম বৃদ্ধি, ওজনে কম দেয়া , মানসম্মত পাথর না দিয়ে ধুলা মেশানো ও নিম্নমানের পাথর সরবরাহ, জিএসটির নামে রশিদ ছাড়াই প্রতি টন পাথরে অতিরিক্ত ২ রুপি করে চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদে বাংলাদেশী পাথর আমদানি ও রপ্তানিকারকরা পাথর আমদানী বন্ধ করে দেয়।
এ ব্যাপারে সোনামসজিদ বন্দর আমদানীকারক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুর রহমান বাবু সোমবার থেকে পাথর আমদানীর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রবিবার বিকেলে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের ফলপ্রসু আলোচনার পর ভারতের মোহদীপুর রপ্তানীকারক এ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি মানবেন্দ্র সরকার ও বাংলাদেশের সোনামসজিদ আমদানীকারক এ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদকের যৌথ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর সোমবার সকাল থেকে পাথর আমদানীর সিদান্ত নেয় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।
প্রসঙ্গত এর আগে ২০১৬ সালের ৬ ফেব্র“য়ারী থেকে একই কারনে ৫ দিন পাথর আমদানি বন্ধ রাখে দেশীয় আমদানিকারকরা। রফতানিকারকরা পাথর আমদানীর ক্ষেত্রে অগ্রিম রাজস্ব প্রদান বহাল,অহেতুকভাবে দাম বাড়ানো,কথিত জিএসটি বাবদ অযাচিত ২ রূপী কমিশন আদায় ( পরে ২ রূপীর স্থলে ৪ রূপী করা হয় ), পাথরের ওজন সিএফটি‘র পরিবর্তে মেট্রিক টনে প্রদান,পাথরে আবর্জনা মিশিয়ে ওজন বাড়ানো ও দফায় দপায় দাম বাড়ানোসহ কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও জিম্মি করে বাংলাদেশী আমদানিকারকদের কাছ থেকে অধিক মুনাফা আদায় করায় সে সময় পাথর আমদানী বন্ধ করে দেয় আমদানীকারকরা।
তবে এর ৫ দিন পর থেকে মৌখিকভাবে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের দাবী ভারতীয় রপ্তানীকারকরা মেনে নেয়ায় আবার পাথর রপ্তানী শুরু হলেও ঘটনার এক বছরের মাথায় আবারো প্রায় একই কারনে চলতি বছরের ২১ জানুয়ারী থেকে পাথর আমদানী বন্ধ হয়ে যায়। তবে এবার লিখিত সমঝোতা হওয়ায় এ নিয়ে আর অচলবস্তা সৃষ্টি হবেনা বলে দাবী সংশ্লিষ্টদের।