রবিবার রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ (একাংশ) নেতা-কর্মীদের নেতৃত্বে ঢাবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি (সহ-সভাপতি) নুরুল হক নুরসহ তাঁর অনুসারীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে। ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতৃত্বে এ মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছন থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আবদুল মজিদ অন্তর বলেন, ভিপি নুর অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন বলে তার ওপর বার বার হামলা করা হচ্ছে। এতে প্রশাসনও নীরব ভূমিকা পালন করছে। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নাম দিয়ে হামলা করে তারা মুক্তিযোদ্ধাদেরও অবমাননা করেছে।
এসময় সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ রাবি শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহ্বায়ক মোর্শেদুল আলম ও রাবি শাখা ছাত্র ফেডারেশন এর সভাপতি মোহাব্বত হোসেন।
প্রসঙ্গত, রবিবার দুপুর পৌনে ১ টার দিকে ‘ডাকসু ভবনের মূল ফটক বন্ধ করে’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর ও তার অনুসারীদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলায় ভিপি নুরসহ ২৫ জনকে রড ও ভোতালো অস্ত্র দিয়ে পেটানো হয়। ঢাকা কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি আবাসিক সার্জন মো. আলাউদ্দিন জানান, তিনজন জরুরি বিভাগের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন। ফারাবি নামের একজনের অবস্থা সংকটাপন্ন। তার শরীরে খিচুনি হচ্ছে। তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। আর বাকি ২০ জনকে জরুরি বিভাগে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে।
হামলায়্য আহত ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজীত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন এর নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের (একাংশ) নেতা-কর্মীরা ডাকসু ভবনের মূল ফটক বন্ধ করে নুর ও তাঁর সহযোগীদের ওপর রড ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করা হয়।